মাদক নিয়ন্ত্রণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আইন রয়েছে। বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১৮ অনুযায়ী ৫ গ্রাম পর্যন্ত কোকেন, হেরোইন, মরফিন ও পেথিড্রিন পাওয়া গেলে ১ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানার বিধান রয়েছে।
এই লেখায় থাকছে কয়েকটি দেশের আইনের তথ্য।
মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড
মাদক বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়লে মালয়েশিয়ায় মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। দেশটিতে মাদক রাখার জন্য জেল, জরিমানার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া অভিবাসীদের কাছে মাদক পাওয়া গেলে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে থাইল্যান্ডে মাদক পাচারের কারণে হতে পারে মৃত্যুদণ্ড। মাদকসেবীদের বাধ্যতামূলকভাবে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো সে দেশের নিয়মিত ঘটনা।
ইরান ও সৌদি আরব
প্রতিবেশী আফগানিস্তানে আফিমের চাষ হওয়ায় ইরানের অন্যতম সমস্যা মাদক। দেশটিতে মাদকসহ ধরা পড়লে বড় অংকের জরিমানা করা হয়। হতে পারে মৃত্যুদণ্ডও। আবার, সৌদি আরবে মাদক বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়লে মৃত্যুদণ্ড প্রায় নিশ্চিত। মাদক সেবন কিংবা সেগুলো রাখার জন্য দেশটিতে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত, জরিমানা ও দীর্ঘদিনের কারাবাস দেওয়া হয়।
চীন ও সিঙ্গাপুর
চীনে মাদকসহ ধরা পড়লে সরকারের মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া মাদক সংক্রান্ত কিছু অপরাধের জন্য ফাঁসি দেওয়া হয় দেশটিতে। অন্যদিকে মাদক বিক্রির দায়ে অভিযুক্ত হলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে।
ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন
ইন্দোনেশিয়ায় গাঁজাসহ ধরা পড়লে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জেল হতে পারে। অন্যান্য মাদকের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১২ বছর পর্যন্ত জেলের বিধান রয়েছে। তবে মাদক বিক্রির দায়ে হতে পারে মৃত্যুদণ্ড।
ফিলিপাইনে মাদক পাচারকারীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। কারো কাছে ১০ গ্রামের বেশি মাদক পাওয়া গেলে তাকে পাচারকারী হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
এনএসআর