ঢাকা: নামে কী আসে যায়? এই আপ্তবাক্য রাজনীতিতে খাটে না। রাজনীতির ময়দানে ভোটারদের আবেগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
সবচে বেশি নাম বদল হয়েছে কেরালা রাজ্যে। এখানে ১৭টি শহর নতুন নাম পেয়েছ। এই রাজ্যটি সবচে বেশি খ্রিস্টীয়করণ হয়েছে। সে হিসেবে শহরগুলোর নামেও ইউরোপীয় ঠং এসে গেছে। এর পরেই আছে যথাক্রমে পাঞ্জাব এবং উড়িষ্যা।
মধ্যপদেশ রাজ্যের দু’টি শহরের নাম পরিবর্তনের অনুমোদন দিলেও অবশ্য রাজধানী ভোপালের নাম বদলে ভোজপাল করার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
পাঞ্জাবের সাহিবজাদা অজিত সিং নগরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে অজিতগর। আর সুনম শহর এখন থেকে পরিচিত হবে সুনম উদ্ধম সিং ওয়ালা নামে। একই সঙ্গে নওয়াশহরের নাম বদলে রাখা হয়েছে শহীদ ভগত সিং নগর এবং মুক্তসরের নতুন নাম রাখা হয়েছে শ্রী মুক্তসর সাহিব।
এদিকে উড়িষ্যার ফুলবাণীর নাম হয়ে গেছে বৌদ্ধ কৌদ্ধমল, সোনাপুরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে সুবর্ণপুর।
কেরালার খ্রিস্টান অধ্যুষিত শহরগুলোর নাম পরিবর্তন হয়েছে এভাবে- ত্রিশুর (আগে ছিল ত্রিচুর), কোল্লাম (ছিল কিলোন), আলাপ্পুঝা (ছিল আলেপ্পে), পালাক্কাদ (ছিল পলঘাট), কান্নুর (ছিল কোন্নানোরে), থালাছেরি (ছিল টেলিচেরি), ভাদাকারা (ছিল বাডাগরে), পারাভুর (ছিল পারুর) এবং আলুভা (ছিল আলভায়ে)।
কেরালার অন্য যে শহরগুলোর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে সেগুলো হলো- দেবী কোলাম হয়েছে দেবী কুলাম, কোচিন হয়েছে কোচি, চঙ্গানাচেরি হয়েছে চঙ্গনাছেরি, চিরাইঙ্কিল হয়েছে চিরাইঙ্কিঝু, ক্রনাগনোরে হয়েছে কোদুঙ্গাল্লুর, মান্নারঘাট হয়েছে মান্নারকাদ, মান্নানটোডি হয়েছে মান্নানথাবাদি এবং সুলতানস ব্যাটারি হয়েছে সুলথান বাথেরি।
অপর দিকে মধ্যপ্রদেশের দু’টি শহরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গোটেগাঁও এবং মহৌ শহর দু’টির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে যথাক্রমে শ্রীধাম এবং আম্বেদকর নগর।
ভারত সরকার অবশ্য আরো কিছু শহরের নাম আগেও পরিবর্তন করেছে। যেমন: ইংরেজদের দেওয়া মাদ্রাজ শহরের নাম পরিবর্তন করেছে রেখেছে চেন্নাই, বোম্বে হয়েছে মুম্বাই, ক্যালকাটা হয়েছে কলকাতা। এখন আরো ২৫টি শহর নতুন নাম পেলো।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই স্থানের নাম পরিবর্তনের ইতিহাস রয়েছে। তবে স্থানের নাম পরিবর্তন সব সময় নির্দোষ প্রক্রিয়া নয়। এর সঙ্গে প্রায়শই সাম্প্রদায়িক ও জাতীয়তাবাদী চেতনা জড়িয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১২