ঢাকা: প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পুনরুজ্জীবিত না করার জন্য আদালত দোষী সাব্যস্ত করলে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি।
রোববার একটি পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম আরবীয় নিউজ চ্যানেলের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গিলারি আরবীয় নিউজ চ্যানেলে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আর সংবিধান অনুযায়ীই তিনি দেশে এবং বিদেশে এ ধরনের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
একই সঙ্গে প্রেসিডেন্টের মামলা চালু করার জন্য সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার জন্য সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশও প্রত্যাখ্যান করেছেন গিলানি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সংবিধান অনুযায়ীই প্রেসিডেন্ট দায়মুক্তি পেয়েছেন।
২০০৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের করা ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অরডিন্যান্সের (এনআও) আওতায় জারদারি দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান। এনআরও’র আওতায় রাজনীতিক এবং আমলারাও দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।
কিন্তু ২০০৯ সালে এই অধ্যাদেশ বাতিল হয়ে যায়।
এর পরে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্ট চলতি বছরের গত ১০ জানুয়ারি সরকারকে এনআরও’র বহাল রাখার ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। সুপ্রিমকোর্ট থেকে বলা হয়, এনআরও আর কার্যকর নেই। সেই সঙ্গে দুর্নীতির মামলা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে সরকারের প্রতি নির্দেশ জারি করেন সর্বোচ্চ আদালত।
এর পর আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রেসিডেন্টের দুর্নীতির মামলা শুরু না করার কারণে গত ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ দেন সুপ্রিমকোর্ট।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি গিলানি আবারো আদালতের সামনে দাঁড়াবেন। এদিন তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হতে পারে।
দোষী সাব্যস্ত হলে গিলানির ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সংসদে সদস্য পদ হারাতে হবে। একই সঙ্গে যে কোনো সরকারি পদে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১২