ঢাকা: গোটা বিশ্বের কাছে তিনি একজন সন্ত্রাসবাদী। কিন্তু বাবা হিসাবে তিনি ছিলেন আর পাঁচজনের মতোই।
ওসামার পঞ্চম পক্ষের স্ত্রীর ভাই হলেন এই জাকারিয়া। ওসামার বিষয়ে জানাতে গিয়ে জাকারিয়া বলেন, ওসামা কিছুতেই চাইতেন না তার ছেলেরা বা নাতিরা সন্ত্রাসবাদী হোক। বরং ওসামা তাদের পরামর্শ দিতেন ‘ইউরোপে যাও, আমেরিকা যাও। ওখানে গিয়ে ভাল করে পড়াশোনা করে এসো। ’
একই সঙ্গে ২৪ বছরের সাংবাদিকতার ছাত্র জাকারিয়া বলেন, গত বছর মে মাসে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের লাদেন নিধনের গোপন অভিযানের পর এখনও তার সন্তানরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। যে সন্তানরা ওসামার সঙ্গে অ্যাবোটাবাদের সেই বিশাল পাঁচিল ঘেরা ঘরে ছিল তারা দীর্ঘ নয় মাস সূর্যের আলো দেখেনি। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছে ওসামার বারো বছরের মেয়ে সাফিয়ার। ওসামাকে হত্যার জন্য মার্কিন সেনারা যে অভিযান চালিয়েছিল সেই অভিযানের সময় তার স্ত্রীর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে, সঙ্গে চোট পায় বারো বছরের সাফিয়াও।
জাকারিয়ার ভয় তার বোনকেও হয়তো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হবে। ওসামার শ্যালকের কথা অনুয়ায়ী অভিযানের দিন ওসামার সঙ্গে ছিলেন তার তিন স্ত্রী। তাদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সের স্ত্রী অমল লাদেনকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে পায়ে দারুণ আঘাত লাগে অমলের। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও দুই স্ত্রী, খাইরিহা ও সাবার। খাইরিহা শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। সাবার হলেন আরবি ভাষার শিক্ষিকা। সূত্র: আনন্দবাজার।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২