চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শাঞ্জি প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় ১৭ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত সপ্তাহের প্রবল বন্যায় প্রদেশের ৭০টিরও বেশি জেলা ও শহরজুড়ে বাড়িঘর ভেঙে পড়ে এবং ভূমিধসের সৃষ্টি হয়।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
এর আগে চীনের হেনান প্রদেশে বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যান। এর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দেশটিতে আবার বন্যা হলো। শাঞ্জি প্রদেশের বন্যা হেনানের চেয়েও ভয়াহব বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেশী হেবেই প্রদেশে একটি বাস নদীতে পড়ে তিনজন মারা গেছেন। ওই বাসের ৫১ জন যাত্রীর মধ্যে অন্তত ১১ জন এখনও নিখোঁজ।
ভারী বন্যার কারণে শাঞ্জি প্রদেশের বেশ কয়েকটি প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াকে কর্তৃপক্ষ জানায়, ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এতে ১৭ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল টাইমসের মতে, ভূমিধসের ফলে চারজন পুলিশ কর্মকর্তা মারা গেছেন। তবে অন্য হতাহতের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
শাঞ্জির প্রাদেশিক রাজধানী তায়িইউয়ানে গত সপ্তাহের গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৮৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার। যদিও ১৯৮১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অঞ্চলটিতে অক্টোবরে বৃষ্টিপাতের গড় ছিল ২৫ মিলিমিটার।
চীনের অন্যতম প্রধান কয়লা উৎপাদনকারী প্রদেশ শাঞ্জি। ভারী বন্যার কারণে সেখানকার খনি ও রাসায়নিক কারখানায় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২১
জেএইচটি