ঢাকা: সংসারে নিত্য অশান্তি। ঠিক মতো খেতেও দেয় না স্বামী।
রোববার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার এনটিপিসি এলাকায়। এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়।
জানা যায়, ওই গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের বাবুপুর এলাকায়। বাচ্চাদের নিয়ে তাকে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখে চমকে ওঠেন স্থানীয়রা। তাদের তৎপরতায় সন্তানসহ ওই গৃহবধূকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু পানিতে তলিয়ে গেছে তার আরেক শিশু সন্তান।
উদ্ধার হওয়া দুই সন্তানসহ গৃহবধূকে ফারাক্কা বেনিয়াগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, সামশেরগঞ্জের বাবুপুর থেকে ফারাক্কার এক আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার সময় ফারাক্কার ফিডার ক্যানেলের পানিতে ঝাঁপ দেন ওই নারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘স্বামী প্রতিদিন অত্যাচার করত। সংসারে টাকা-পয়সা দিত না। আবার একটা বিয়ে করেছে। এখন আমি কী করব!’ তবে কেন এখানে এসে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন, তা অবশ্য বলতে চাননি ওই গৃহবধূ।
জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছিলেন ওই নারী। অভিযোগ, স্বামী শহিদুল রহমান আবার একটি বিয়ে করেছেন। পরে গৃহবধূর ওপর চলে চরম মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। তাকে ও তিন ছেলেমেয়েকে ঠিকমতো খেতেও দেন না স্বামী। এমন অভিযোগ করেছেন এ নারী। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চরমে ওঠে। একপর্যায়ে ক্ষোভে সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করতে যান ওই নারী। যদিও স্থানীয়দের তৎপরতায় তিনি ও তার দুই সন্তান প্রাণে বেঁচে গেছেন। কিন্তু এখনও নিখোঁজ এক শিশু সন্তান। তার খোঁজ চলছে।
এদিকে অভিযুক্ত স্বামীর সন্ধান করা হচ্ছে। ঠিক কী হয়েছিল, নারীর অভিযোগের সত্যতা কতটা, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ভারতের পুলিশ। এদিকে ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। চোখের সামনে এমন ঘটনায় চমকে গেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে আরেকটি কোলের শিশুকে উদ্ধার করতে না পারায় স্থানীয়রা দুঃখপ্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২১
এনটি