অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহেও টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া পর পর নিম্নচাপ।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) উত্তরাখণ্ড থেকে আটকে পড়া ১০ জন বাঙালি পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে কালচানাথে আটকে পড়েন ওই পর্যটকরা।
গত রোববার থেকে টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালের ভূমিধসে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে নৈনিতাল জেলার রামগড়ের একটি গ্রাম। রাজ্যের ডিজিপি অশোককুমার সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ভূমিধসের কারণে মাটিচাপা পড়ে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নৈনিতালে বৃষ্টি হয়েছে রেকর্ড ৫০০ মিলিমিটারেরও বেশি। নৈনি হ্রদ উপচে আজ ভেসে গিয়েছে নৈনিতাল, আলমোড়া, রানিখেতের মতো সাজানো শহর। নৈনিতাল পৌঁছনোর তিনটা রাস্তাই এখন বন্ধ। ফলে বাকি রাজ্যের সঙ্গে নৈনিতালের সমস্ত যোগাযোগ এখন বিচ্ছিন্ন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরইমধ্যে বৃষ্টির অনেক ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। গওলা নদীতে আটকে পড়া একটা হাতির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। খবর পেয়ে হাতিটিকে উদ্ধার করেছেন বন বিভাগের কর্মীরা। শুধু সড়কপথ নয়, প্রবল বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেলপথও। আর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে বিভিন্ন হোটেলে আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। দুর্গতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মী দল।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি এবং মন্ত্রী অজয় ভট্টের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে টুইটারে মোদী বলেন, উত্তরাখণ্ডে প্রাণহানিতে আমি দুঃখিত। প্রার্থনা করি আহতরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, বুধবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি কমতে পারে। তবে বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবাহাওয়া আরও কিছুদিন থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২১
এমজেএফ