সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য নতুন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটিতে উন্নত নিয়ন্ত্রণ নির্দেশনা প্রযুক্তি রয়েছে, যার ফলে এর গতিবিধ অনুসরণ করা কঠিন।
গত কয়েক সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগ ছিল হাইপারসনিক ও দূরপাল্লার অস্ত্র। জাতিসংঘ এই নিয়ে অনেকবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক মনে করা হয়। কারণ, এটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে বেশি বিস্ফোরক বহন এবং তুলনামূলক দ্রুতগতিতে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বুধবার (২০ অক্টোবর) জানিয়েছে, নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটির ‘কন্ট্রোলিং এবং হোমিং’ টেকনোলজি রয়েছে, যার মাধ্যমে ভালোভাবে গতিপথ পরিবর্তন করতে পারবে। সেই সাথে ক্ষেপণাস্ত্রটির গ্লাইডিং এবং জাম্পিং মুভমেন্টের সুবিধা রয়েছে। ২০১৬ সালেও এই সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। তবে এবারের পরীক্ষায় কিম জং উন উপস্থিত ছিলেন কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জানিয়েছেন, সিনপো বন্দর থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, যেখানে পিয়ংইয়ং সাধারণত তার সাবমেরিন ঘাঁটি করে।
৬০ কিলোমিটার উপর দিয়ে ৪৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে সাবমেরিনটি জাপান সাগরে গিয়ে পড়ে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই উৎক্ষেপণকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২১
এমজেএফ