করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল মারা যান। ইরাক যুদ্ধের পথ তৈরির অন্যতম কারিগর বলা হয় তাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ গুরুত্বসহকারে প্রচার করায় গণমাধ্যমের সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘মৃত্যুর পরে কলিন পাওয়েলকে এত সুন্দরভাবে ভুয়া সংবাদমাধ্যমগুলো তুলে ধরেছে, যা দেখে চমৎকৃত হচ্ছি। অথচ এই কলিন পাওয়েলই ইরাক যুদ্ধের ব্যাপারে অনেক বড় ভুল করেছেন এবং চমৎকারভাবে কথিত গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। আশা করি একদিন আমার বেলায়ও এমনটি ঘটবে। ’
ট্রাম আরও বলেন, পাওয়েল অনেক বড় ভুল করেছেন। তবে যাই হোক, তার আত্মা শান্তি পাক।
পার্স টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাক যুদ্ধ শুরুর আগে কলিন পাওয়েল ইরাক ইস্যুতে জাতিসংঘে গোপন প্রতিবেদন তুলে ধরেন। সেই প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেন, সাদ্দাম সরকারের কাছে গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র রয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই ইরাকে আগ্রাসন চালায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটো জোট। এতে প্রাণ যায় হাজার হাজার বেসামরিক মানুষের।
এর আগেও সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ এবং তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েলকে ইরাক যুদ্ধের কারিগর বলে একাধিকবার মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কলিন পাওয়েল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে ভূমিকায় ছিলেন বিশ শতকের শেষ এবং একুশ শতকের প্রথম দিকে। ২০০১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর নেই
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
জেএইচটি