তাইওয়ানে চীনের হামলা ঠেকাতে দেশটির পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তাইওয়ানকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২১ অক্টোবর জো বাইডেন বলেছেন, কারণ চীন ওই অঞ্চলে নিজের আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে। বেইজিং থেকে তাইওয়ানের দিকে ক্রমবর্ধমান সামরিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে তাইওয়ানকে রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে বাইডেন বলেন, চীনের সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে বেইজিং থেকে সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর অভিযোগ করেছে তাইওয়ান। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবে।
বেইজিং ও তাইপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা উত্তেজনা বর্তমানে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। চীন গণতান্ত্রিক এই ভূখণ্ডকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে থাকে। সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনের সামরিক বিমানের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় উত্তেজনার পারদ এখন চরমে।
এদিকে চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্কের উত্তেজনা গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুয়ো-চেং সতর্ক করে দিয়েছেন যে দু'পক্ষের মধ্যে দুর্ঘটনাক্রমে সংঘাত বেঁধে যেতে পারে।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাকবিতণ্ডা ও সামরিক তৎপরতা থাকলেও চীন খুব শিগগির তাইওয়ান আক্রমণ করতে পারবে না। অন্তত আগামী ১২ মাসে চীনের আক্রমণের সম্ভাবনা 'শূন্যের কাছাকাছি' বলে উল্লেখ করেছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২১
এসআইএস