ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে তামাকজাত পণ্যের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নিতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অধূমপায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটি।
২০২২ সালের জুনে ধূমপানবিরোধী নতুন পরিকল্পনা সংসদে আইন হিসেবে পাস হতে পারে। এর ফলে এখনকার শিশুরা ভবিষ্যতে ধূমপানের সুযোগ পাবে না।
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আয়েশা ভেরাল জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করাসহ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, অল্পবয়সীরা কখনো ধূমপান করতে পারবে না। তাদের কাছে তামাকজাত পণ্য বিক্রি বা সরবরাহ করাকে ‘অপরাধ’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
তিনি আরও জানান, যদি বর্তমান অবস্থার কোনো পরিবর্তন না করা হয়, ধূমপানের হার পাঁচ শতাংশের নিচে নামতে কয়েক দশক লেগে যাবে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) উন্মোচিত প্রস্তাবের একটি অংশে বলা হয়েছে, তামাক বিক্রির জন্য অনুমোদিত খুচরা বিক্রেতাদের সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া সব ধরনের পণ্যে নিকোটিনের মাত্রা হ্রাস করা হবে।
বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য সিগারেট নিষিদ্ধ। কিন্তু ২০২৭ সাল থেকে বয়সের এই সীমা ক্রমাগত বাড়তে থাকবে। ফলে এখন যাদের বয়স ১৪ বছর বা তার চেয়ে কম তারা আর কখনো সিগারেট কেনার বৈধতা পাবে না।
হিসাব করলে দেখা যাবে, ৬৫ বছর পরে যারা সিগারেট কিনতে যাবেন, তাদের বয়স হতে হবে ৮০ বছর। তবে সরকার মনে করছে এতদিন অপেক্ষা করতে হবে না। তার আগেই নিউজিল্যান্ড ধূমপানমুক্ত দেশে পরিণত হবে।
তামাকের খুচরা বিক্রয়ে বিশ্বে সবচেয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা দেশের মধ্যে ভুটানের পরেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে সিগারেটের ওপর উচ্চ কর আরোপ করা হয়েছে। অন্য দেশের তুলনায় সেখানে ধূমপায়ীর হার এমনিতেই কম। বর্তমানে দেশটিতে ধূমপায়ীর হার ১১ দশমিক ছয় শতাংশ। তবে প্রতিদিন ধূমপান করেন নয় শতাংশ মাত্র। ২০২৫ সালের মধ্যে এই হার পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় নিউজিল্যান্ড।
সূত্র: ডয়চে ভেলে, দ্য জেরুসালেম পোস্ট
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
এনএসআর