কাবুল: আফগানিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন সেনাদের হাতে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে সমগ্র আফগানিস্তান। রাজধানী কাবুলের অদুরে বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে এই গর্হিত কাণ্ড ঘটায় আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটো বাহিনীর মার্কিন সেনারা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটির বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় মার্কিন সমর্থিত আফগান জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৪ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
এদিকে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিক্ষোভের মুখে মার্কিন কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।
ঘাঁটিতে আটক আফগান বন্দিদের কাছ থেকে জব্দ করা পবিত্র কোরআনের কপি এবং অন্যান্য ধর্মীয় পুস্তক কর্তৃপক্ষ একটি চুল্লিতে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলার খবর জানাজানি হলে আফগানিস্তানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
ঘাঁটি কর্তৃপক্ষের দাবি ওই পুস্তক ও কোরআনের কপির মাঝে তালেবান বন্দিরা বার্তার আদান প্রদান করতো।
প্রতিবাদকারীরা কাবুলের প্রধান মার্কিন ঘাঁটি ক্যাম্প ফনিক্স লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারতে থাকে। এসময় তারা চিৎকার করে ‘আমেরিকার মৃত্যু হোক’ স্লোগান দিতে থাকে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।
দাঙ্গা পুলিশ প্রতিবাদকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্র ভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীদের একাংশ কাবুল এবং জালালাবাদের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী একমাত্র মহাসড়কটি বন্ধ করে দেয়।
নিরাপত্তা কর্মীরা এ সময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলিও ছুড়ে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম। বিক্ষোভকারীরা এ সময় তালেবানদের স্বপক্ষে স্লোগান দিতে থাকে ।
এদিকে জালালাবাদ শহরে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় একটি তেলবাহী ট্যাংকারেও আগুন জা¦লিয়ে দেওয়া হয় বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।
এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কাবুলে অবস্থি’ত মার্কিন দুতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ সকল মার্কিন নাগরিকের দেশটি ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বাংলাদেশ সময় :১৯০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১২