প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী জরায়ুতে গর্ভধারণ করেন নারীরা। কিন্তু চিকিৎসকদের হতভম্ব করে লিভারে সন্তান ধারণ করেছেন ৩৩ বছর বয়সী কানাডিয়ান এক নারী।
আলট্রাসনোগ্রামের পর এই বিরল গর্ভধারণের বিষয়টি চিকিৎসকদের নজরে আসে বলে শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার ম্যানিটোবার চিলড্রেনস হসপিটাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাইকেল নার্ভি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।
ভিডিওটিতে তিনি বলেন, টানা ১৪ দিন ধরে ঋতুকালীন রক্তক্ষরণ হওয়ায় এক নারী আমার কাছে আসে। আলট্রাসনোগ্রামের পর দেখা যায়, ওই নারীর লিভারে বেড়ে উঠছে সন্তান।
ঘটনাটি বিরল হলেও নজিরবিহীন নয় বলে জানিয়েছেন নার্ভি। এই ধরনের গর্ভধারণকে একটোপিক গর্ভাবস্থা বলা হয়। যখন নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর পরিবর্তে অন্য কোথাও আটকে যায়, তখনই মায়ের শরীরের অন্য অংশে সন্তান বেড়ে উঠতে শুরু। সেক্ষেত্রে জরায়ুর পরিবর্তে পেটের প্রাচীরেও বেড়ে উঠতে পারে সন্তান।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানায়, এই ধরনের গর্ভাবস্থা খুবই বিরল। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে বিশ্বে মাত্র ১৪টি লিভারে গর্ভধারণের ঘটনা জানা গেছে। ইতোমধ্যে কানাডার ওই নারীর ভ্রুণ অপসারণ করে তার প্রাণ রক্ষা করেছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তার সন্তানটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
এএটি