লন্ডন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী প্রধান, চেয়ারম্যান অব জয়েন্ট চিফস অব স্টাফস জেনারেল মার্টিন ডিম্পসপে বলেছেন, ‘এই মুর্হতে ইরানে আক্রমণ করা মানে বিশ্বে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। ’
তিনি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘নাহ্, ইসরালকে ইরান আক্রমণ থেকে বিরত রাখার জন্য এ কথা বলছি না।
ডিম্পসপে বলেন, ‘আমরা তাদের (ইসরাইলকে) ওপর পরামর্শ চাপিয়ে দেওয়ার জন্য বলছি না। বলছি না যে, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিই সঠিক। ’
তবে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে (আমেরিকা ও ইসরাইল) খোলামেলাভাবে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক আলোচনা চলছে। ’
তিনি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের সতর্কবাণীরই প্রতিধ্বনিই করেছেন মাত্র, জানায় ব্রিটেনের জনপ্রিয় দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।
উইলিয়াম হেগ এর আগে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক অভিযান সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘এমুহূর্তে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা বুদ্ধি-বিবেচনাপ্রসূত কাজ হবে না। ’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ রোববার বিবিসির অ্যান্ড্রু মায়ের শোতে মন্তব্য করেন, ‘আমি মনে করি, ইসরাইলসহ পৃথিবীর সবাই আরো বেশি অবরোধ, কুটনৈতিক চাপ এবং ইরানের সঙ্গে সহযোগিতার পক্ষপাতী। সেই পরিকল্পনাই আমরা গ্রহণ করেছি। ’
তিনি গত সপ্তাহে দিল্লি, তিবলিসি এবং ব্যাংককে ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে ইরানি এজেন্টদের হামলার কথা জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্নস্থানে ইরান যে অবৈধ হামলা চালাচ্ছে, তা গভীর মনোযোগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ’
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধান এমন সময় এ মন্তব্য করলেন, যখন রোববার ইরানের জ্বালানি মন্ত্রণালয় ব্রিটেন ও ফ্রান্সে অপরিশোধিত তেল বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয়।
এছাড়াও গত সপ্তাহে নেদারল্যান্ডস, গ্রীস, ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন ও ইতালিতে তেল সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয় ইরান।
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের উদ্ধৃতি দিয়ে ইরানের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র আলীরেজা বলেন, ‘ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের কাছে অপরিশোধিত তেল রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব নতুন ক্রেতা আছে। এসব দেশের তেল কোম্পানির বদলে এসব নতুন ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করবে ইরান। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১২