বাগদাদ: ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বৃহস্পতিবার পৃথক স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অসংখ্য।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাগদাদের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও শিয়া সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে।
বাগদাদের মধ্যাঞ্চলীয় কারাদা জেলায় চালানো মারাত্মক হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়। শিয়া অধ্যুষিত এলাকাটিতে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলায় আশেপাশের দোকান ও ভবন বিধ্বস্ত হয়।
কারাদায় ঘটানো এই হামলার দায়িত্ব এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
অপর হামলাগুলোর মধ্যে বাগদাদের উত্তরে আল-কাদিমিয়া জেলায় একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬ জন, সারাফিয়া জেলায় পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে বন্দুকধারীদের গুলিতে ৬ জন এবং পশ্চিম আল মনসুর জেলায় বোমা বিস্ফোরণে দু’জন নিহত এবং ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া একই সময়ে বাগদাদের দক্ষিণে দোরা আবু শিয়ারে দু’টি পৃথক বিস্ফোরণে ২ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে এবং বাগদাদের দক্ষিণে সাইদিয়ায় একটি পুলিশ টহল দলের ওপর হামলায় দু’জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছে।
আরো হামলা হয়েছে বাগদাদের দক্ষিণে আল মাদানে এতে আহত হয়েছে ৭ জন যাদের মধ্যে বেশিরভাগেই পুলিশ সদস্য। রাজধানীর উত্তরে তাজিতেও বোমা বিস্ফোরণে ৫ জন বেসামরিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এসব হামলা ছাড়াও মসুল. কিরকুক এবং সালাহউদ্দিন প্রদেশে হামলার খবর পাওয়া গেছে।
গত সপ্তাহেও রাজধানী বাগদাদের একটি পুলিশ একাডেমির কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৮ জন নিহত হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবারের সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এছাড়া রাজধানীর বাইরে ইরাকের দিয়ালা প্রদেশের রাজধানী বাকুবাতেও বিষ্ফোরনে কমপক্ষে দু’জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইরাকের বর্তমান শিয়া প্রধানমন্ত্রী নুরী আল মালিকি দেশটির জাতীয় সরকার থেকে সুন্নি নেতাদের সরিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ নিলে শিয়ারা হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের একদিন পরই ইরাকের সুন্নি ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিক আল হাশিমির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সুন্নি ডেথ স্কোয়াডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই পরোওয়ানা জারি করা হয়। এ সব ঘটনার কারণে দেশটিতে শিয়া-সুন্নি সাম্প্রদায়িক গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১২