ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

‘তামিলনাডুতে ভারতের স্বার্থবিরোধী কাজ করছে মার্কিন এনজিও’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:২৯, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২
‘তামিলনাডুতে ভারতের স্বার্থবিরোধী কাজ করছে মার্কিন এনজিও’

নয়াদিল্লী: ভারতের তামিলনাড়ুর কুদানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের জন্য আন্দোলন উসকে দেওয়ার জন্য মার্কিন এনজিওগুলোকে দায়ী করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞান পত্রিকার জন্য এনডিটিভিতে দেওয়া সাক্ষাতকারে মনমোহন সিং এ অভিযোগ করেছেন।



তিনি বলেন, ‘কুদানকুলামে এখন পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা করা খুবই কঠিন কারণ আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এনজিওগুলো আমাদের বিদ্যুৎ বাড়ানোর লক্ষ্যে গৃহিত এই উদ্যোগ সমর্থন করছে না। ’

এদিকে একই প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অফিসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলো ভারতের বিভিন্ন এনজিওকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনটি এনজিও’র লাইসেন্স বাতিল করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তারা এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আরো ব্যবস্থা নেয়ার কথাও ভাবছেন।

স্থানীয়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির আশেপাশে অবস্থান নিয়ে গত তিন মাস ধরে বিদুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। গ্রাম থেকে এই লোকজনকে ট্রাকে করে আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

সাক্ষাতকারে মনমোহন মার্কিন এনজিওগুলোকে নিয়ে আরো বলেন, ‘এনজিওগুলো আমাদের দেশে জিএম (জেনিটিক্যালি মোডিফাইড) খাদ্যশস্য এবং প্রাণপ্রযুক্তির বিরোধিতা করে আসছে। আমাদের কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধিতে এই প্রযুক্তির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে আর এটা আমাদের অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর অর্থায়নে পরিচালিত এনজিওগুলো আমাদের দেশের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ পুরোপুরি উপলব্ধি করে না। ’

উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুতে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে তের’শ কোটি রুপি ব্যয়ে কুদানকালাম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে ভারত সরকার। কিন্তু গত বছর জাপানের ফুকুসিমা ট্র্যাজেডির পর থেকেই ওই এলাকা থেকে এটি সরিয়ে নিতে আন্দোলন শুরু হয়। প্রবল আন্দোলনের মুখে ভারত সরকার অবশেষে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাপক আলোচনার মুখে এক হাজার মেগাওয়াটোর পরীক্ষামূলক দু’টি রিঅ্যাক্টর বন্ধ করতে বাধ্য হয় সরকার।

এর মধ্যে বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও ওই কেন্দ্রটির নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব থেকে সরে আসে। ভারতের এনার্জি রেগুলেটরি বোর্ডও পরমাণু কেন্দ্রটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন করে মূল্যায়নের পরামর্শ দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।