ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা ও বিরোধীদের বয়কট সত্ত্বেও চলমান সহিংসতার মধ্যে সিরিয়ার সরকার নতুন সংবিধানের ওপর গণভোট শুরু করেছে।
রোববারের গণভোটকে হাস্যকর আখ্যা দিয়ে বিরোধীরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পদত্যগ দাবি করেছে।
নতুন সংবিধানে বহুদলীয় সংসদীয় ব্যবস্থা রেখে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, চলমান সহিংসতায় শনিবার সিরিয়ায় ৮০ জন মারা গেছে। গত জানুয়ারিতে জাতিসংঘ জানায়, সিরিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলনে সাড়ে চার হাজার লোক নিহত হয়।
গণভোটের জন্য সিরিয়ার এক কোটি চার লাখ ৬০ হাজার ভোটারের জন্য ১৩ হাজার ভোটকেন্দ্র খোলা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরকারের নতুন দলিলপত্র নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছে। এতে আসাদের বাথ পার্টির বিরোধীদের স্থান রয়েছে। লোকজনকে বোঝানো হচ্ছে কিভাবে তারা ভোট দেবে।
বিরোধীদের একটি গ্রুপ নতুন সংবিধানকে প্রতারণামূলক ও গণভোটকে হাস্যকর বলে অভিযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু ইস্তাম্বুলে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘একদিকে আপনি গণভোট আয়োজন করছেন আর আরেক দিকে সামরিক ট্যাংক দিয়ে বেসামরিক এলাকায় হামলা চালাচ্ছেন। ’ তিনি বলেন, ‘আপনি মনে করেন, ওই এলাকার লোকজন ভোট দিতে যাবে?’
যুক্তরাষ্ট্র গণভোটের সমালোচনা করে জানিয়েছে, ‘এটা হাস্যকর’
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১২