ঢাকা, বুধবার, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ভারত থেকে চাল কেনায় ইরাকের ওপর ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৫১, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১২
ভারত থেকে চাল কেনায় ইরাকের ওপর ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: সাধারণ মানুষের চাহিদা এবং সস্তা দাম বিবেচনায় ভারত থেকে বাসমতি চাল কিনছে ইরাক। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে সবচে বেশি ধান উৎপাদন হয়। গত কয়েক বছরে এই অঞ্চল থেকে চাল আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে দিয়েছে ইরাক। এতে তাদের চালের বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।

এ ব্যাপারে টেক্সাস থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা টেড পো ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, ‘নিশ্চয় একটা কারণে আমরা তাদের (ইরাকি) স্বাধীন করেছি। আমরা ভেবেছিলাম তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে আমাদের কথা বিবেচনায় রাখবে। আমরা তাদের শুধু স্বাধীন করতেই বিলিয়ন বিরিয়ন ডলার খরচ করিনি বরং তাদের অবকাঠামোও পুননির্মাণ করে দিয়েছি। ’

এদিকে আরো ১২ জন কংগ্রেসম্যান চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ইরাকের বাণিজ্যমন্ত্রী খায়ের আল্লা বাবাকেরকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা তাদের অসন্তোষের কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চাল কেনার জন্য চাপ দিয়েছেন মন্ত্রীকে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের চাল বিক্রি ৭৭ শতাংশ কমে গেছে। খুব বেশি আগের কথা না হলেও গত কয়েক বছরে ইরাক যুক্তরাষ্ট্রের চালের সবচে বড় বাজারে পরিণত হয়েছে।

এর জবাবে ইরাকের খাদ্যশস্য বিভাগ বলছে, তুলনামূলক সস্তা হওয়ার কারণে তারা ভারত থেকে বাসমতি চাল কিনছে। বাগদাদ ২০১০ সাল থেকে মার্কিন চাল আমদানি বন্ধ করেছে।

ইরাকের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়  জানিয়েছে, ইরাকের মানুষ ভারতের বাসমতি চাল পছন্দ করছে। এ ধরনের চাল উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে হয় না। আমদানির স্থান পরিবর্তনের এটা বড় কারণ।

অবশ্য ইরাকি চালের বাজার থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দেওয়ার কোনো আইন করা হয়নি। কিন্তু ইরাকিদের সান্ধ্যভোজনের প্লেটে যে চালের ভাত পছন্দনীয় সে জাতের ধান মার্কিন কৃষকরা উৎপাদন করছে না। উপরন্তু সম্প্রতি খরা, অতিরিক্ত গরম, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, চালের দাম পড়ে যাওয়া এবং তাদের রপ্তানি বাজার সঙ্কুচিত হয়ে আসার কারণে সেখান থেকে আর আমদানি করা হচ্ছে না।

চিঠিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে নাম স্বাক্ষর করেছেন- আরকানসাস, ক্যালিফোর্নিয়া, লুইজিয়ানা, মিসিসিপি, মিসৌরি, টেক্সাস এবং ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যানরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।