ইউক্রেনে ১৫ দিন ধরে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এই অভিযানের চতুর্থ দিনে ২৭ ফেব্রুয়ারি পারমাণবিক অস্ত্র ‘বিশেষ সতর্ক অবস্থায়’ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এবার ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জৈব অস্ত্র রাশিয়া ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করছে—এমন ‘মিথ্যা দাবি’ করার অভিযোগে এক টুইট বার্তায় মিজ সাকি রাশিয়ার সমালোচনা করেন।
তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জৈব অস্ত্র ব্যবহার করার প্রাথমিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও তার এই দাবির বিপরীতে কোনো প্রমাণ তিনি দেননি।
প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। সেখানে একের পর এক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। বহু মানুষ হতাহত হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশটি ছেড়ে অন্তত ২০ লাখ মানুষ পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
রাশিয়ার মতো বিশাল শক্তিধর বাহিনীর সঙ্গে ১৫ দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের যোদ্ধারা। এতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বেসামরিক লোকজনও।
এই যুদ্ধ বন্ধ করতে বেশ কয়েকবার ‘শান্তি আলোচনা’ হলেও এখনো চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি হয়নি। তবে ‘মানবিক করিডর’ দিতে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেন দাবি করে, রাশিয়া মানবিক করিডর দেওয়ার ঘোষণা দিলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে আনতে তারা বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
এই যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বের অনেক দেশ উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু এখনো যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কোনো দেশই একমত হয়নি। সবশেষ তুরস্কের উদ্যোগে রাশিয়া ও ইউক্রেনের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল ‘শান্তি আলোচনায়’ বসেছে।
সূত্র: বিবিসি
আরও পড়ুন:
পারমাণবিক অস্ত্রের দায়িত্বে থাকা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ পুতিনের
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে রাশিয়াকে পাল্টা হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
জেএইচটি