প্যারিস : ফ্রান্স এখন অতিরিক্ত বিদেশির ভারে ভারাক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি। এর প্রতিকার হিসেবে তিনি ফ্রান্সে বিদেশিদের প্রবেশ করতে দেওয়ার হার অর্ধেকে নামিয়ে আনবেন বলেও অঙ্গীকার করেন।
ফ্রান্সে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি এ সব কথা বলেন।
সারকোজি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য আসন্ন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও অংশ নিতে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার দেওয়া তার বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রের সংহতিকরণের কাজ খুবই খারাপভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ, আমাদের ভুখণ্ডে বিদেশিদের সংখ্যা খুব বেশি। তাদের জন্য বাসস্থান, চাকরি, বিদ্যালয়সহ অন্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করার ভার আমরা খুব বেশিদিন বহন করতে পারবো না। ‘
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়েই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তার অভিবাসন বিরোধী রক্ষণশীল অবস্থান আবারও উন্মোচিত হলো।
ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মেরি লি পেনকে মোকাবেলা করার জন্যই এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন। মেরি লি পেন কট্টর ডানপন্থী এবং প্রচণ্ড অভিবাসনবিরোধী হিসেবে পরিচিত।
২২ এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্ব সামনে রেখে এ সব বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তিনি মুলত কট্টর রক্ষণশীলদের মন জয় করতে চাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে তিনি বলেন, ‘যদিও ফ্রান্সের কোনো কোনো এলাকায় অভিবাসন আশীর্বাদ বয়ে এনেছে তবে অবশ্যই কঠোর থেকে কঠোরতর অভিবাসন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বহিরাগতদের ফ্রান্সে প্রবেশ নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
পরর্বতী পাঁচ বছরের মেয়াদে ফ্রান্সে তিনি অভিবাসী প্রবেশের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনবেন বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি।
সারকোজির এই ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে ফ্রান্সে বর্তমানে বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী প্রবেশের সংখ্যা কমে দাড়াবে এক লাখেরও কম।
ফ্রান্সে বসবাসরত অভিবাসীদের জন্য বরাদ্দকৃত কিছু সুযোগ সুবিধাও কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি।
যে সব অভিবাসী মূলত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফ্রান্সে বসবাস করছে এবং ৫ বছর ধরে কাজ করছে তারাই এতদিন ফরাসী সরকারের পক্ষ থেকে এই সুযোগ সুবিধাগুলো পেতো।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১২