ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে সম্ভাব্য বিমান হামলা ঠেকাতে রাজধানীর কাছে মোতায়েন বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ সিউলের সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের কাছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য এসএ-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া।
একই সময়ে তারা এসএ-৩ মডেলের ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা সাত থেকে এক লাফে ১৪০ এ উন্নীত করেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা কম তবে এরা খুব নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমানে আঘাত হানতে সক্ষম।
৪৮ কিলোমিটার পাল্লার এসএ-২ ক্ষেণাস্ত্রের সংখ্যা ২০০০ সালে ছিল ৪৫ সেখানে ২০১০ সালে তা করা হয়েছে ১৮০টি। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার হাতে বর্তমান পরিবহনযোগ্য বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে প্রায় ১২ হাজার।
ওই সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে আরো বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার ব্যবস্থা এবং দূরপাল্লার রকেট অকেজো করে দেওয়া গেলে দক্ষিণ কোরিয়া তার শত্রুর সীমানার আরো গভীরে হামলা করতে সক্ষম হবে।
আকাশসীমার নিরাপত্তাকেই দক্ষিণ কোরিয়া অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবর নিশ্চিত করতে রাজি হয়নি।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে খাদ্য সহায়তার বিনিময়ে পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
উল্লেখ্য, কমিউনিস্ট রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া বিভিন্ন ধরনের ও ক্ষমতার ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে। আর সেগুলো তাক করা আছে দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে। তাদের হাতে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ ৩ হাজার কিলোমিটার বা তারও বেশি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।
২০০৯ সালের এপ্রিলে দেশটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১২