ঢাকা, শনিবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

২২ শিশুর মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান বেলজিয়াম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৪১, মার্চ ১৫, ২০১২
২২ শিশুর মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান বেলজিয়াম

ঢাকা : সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ শিশুসহ ২৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় সমগ্র বেলজিয়াম এখন শোকে ম্যুহমান। বেলজিয়ামের দু`টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি একটি বাস মঙ্গলবার দিনের শেষভাগে (জিএমটি : ২০০০ ঘণ্টা) সুইজারল্যান্ডের ইতালীয় সীমান্তের নিকটবর্তী ভ্যালেইসে ক্যান্টনে (জেলা) অবস্থিত একটি পার্বত্য টানেলে বিধ্বস্ত হয়।


 
বেলজিয়ামের লমেল ও হেভারলির অধিবাসী এই বাসযাত্রীদের অধিকাংশই ছিল স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বন্ধের ছুটি কাটাতে তারা সুইজারল্যান্ড ভ্রমনে গিয়েছিল। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি টানেলের অভ্যন্তরে একটি পাথরের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়।

হতাহতদের আত্মীয়স্বজনেরা ইতিমধ্যেই সুইজারল্যান্ড পৌঁছেছেন। তবে অনেক অভিভাবকই এখনও জানেন না তাদের সন্তানদের ভাগ্যে কি ঘটেছে।

হতাহত অধিকাংশ শিশুর বয়স ১২ বছরের কম বলে জানিয়েছে বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। একটি খ্রিস্টান গ্রুপের ভাড়া করা তিনটি  বাসের মধ্যে একটি হল এই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি। অপর দু`টি বাস নিরাপদেই বেলজিয়ামে ফিরে গেছে।

বেলজিয়ামের ডাচ সীমান্তের নিকটবর্তী লমেল শহরের সেসকে প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লেভেন শহরের নিকটবর্তী হেভারলি গ্রামের সেন্ট ল্যামবারটাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই মূলত বাসটির আরোহী ছিল।

অধিকাংশ হতাহত যদিও বেলজিয়ান তবে সুইস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত সাত শিশু হল্যান্ডের নাগরিক। আহতদের মধ্যেও তিনজন ডাচ এবং একজন করে পোলিশ ও জার্মান বলে জানায় তারা।

আহতদের সুইজারল্যান্ডের সিওন, বার্ন এবং লাসানে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজন এখনও কোমায় রয়েছে বলে জানা যায়।

এদিকে দুর্ঘটনার ব্যাপারে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় অলিভিয়ার এলসিগ নামের এক সুইস কর্মকর্তা বলেন, বাসটি টানেলের ভেতরে একটি কনক্রিটের দেয়ালে ধাক্কা খায়। টানেলটিতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ১০০ কিলোমিটারে নির্ধারিত ছিল ।

দুর্ঘটনার সময় বাসটির গতি কত ছিল তা এখনও তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে বাসটি খুব দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দুর্ঘটনার সময় বাসের আরোহী শিশুদের প্রত্যেকেরই সিট বেল্ট বাঁধা ছিল এবং অপর কোনো যানবাহনও এই দুর্ঘটনায় জড়িত নয় বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে কারিগরি ত্রুটিকেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাসটির চালকের স্বাস্থ্যগত সমস্যার পাশাপাশি মানবিক ভুল হওয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।

বাংলাদেশ সময় : ১১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১২

সম্পাদনায় : রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।