ঢাকা : ইরান থেকে তেল আমদানি কমাতে ব্যর্থ হলে ভারতের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওবামা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে এমন খবর বেরিয়েছে।
ব্লুমবার্গ বার্তা সংস্থা মার্কিন প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ ক’জন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইরানের তেলের বিনিময় মূল্য হস্তান্তরের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি আইন করতে যাচ্ছে। আগামী ২৮ জুনের মধ্যে এই আইন কার্যকর হতে পারে যাতে আইনভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
তেল কেনার ব্যাপারে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনকে লক্ষ্য করেই মূলত নতুন আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত যেসব দেশ ইরানের অপরিশোধিত তেল আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমাতে পারবে না এই আইন বলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
নাম প্রকাশ না করে এক মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ওই বার্তা সংস্থায় আরো বলা হয়েছে, ভারত যদি ইরান থেকে তেল আমদানি যথেষ্ট পরিমাণে কমাতে না পারে তাহলে তেল আমদানির ব্যাপারে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ভারতের যেসব ব্যাংক কাজ করবে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক ব্যবস্থার সঙ্গে কাজ করতে না দেওয়ার ব্যাপারে ওবামা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন আইনে কোন দেশের জন্য ঠিক কতো শতাংশ আমদানি কমাতে হবে তা স্পষ্ট করে বলা নেই। কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে ১৫ শতাংশের মতো আমদানি কমালেই চলবে।
অবশ্য ইরান থেকে তেল আমদানি কমিয়ে বিকল্প উৎস খুঁজে দিতে ভারতকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্লুমবার্গ মার্কিন ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কোনো ধরনের ঘাটতি দেখা দিলে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ও সৌদি আরবসহ অন্যান্য সরবরাহকারী দেশ থেকে তেল কেনার ব্যাপারে মধ্যস্থতা করবে।
এদিকে কর্মকর্তারা এও বলেছেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া বা ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদার এবং চীনের উত্থানের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো আঞ্চলিক শক্তির বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর