ঢাকা : মালিতে সংঘটিত বুধবারের সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে নিন্দা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার মালির সেনাবাহিনীর একদল বিদ্রোহী সদস্য প্রেসিডেন্ট আমাদো তোমানি তুরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মালির সকল সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মালির অভ্যুত্থানকারীরা। প্রেসিডেন্ট আমাদো তোমানি তুরে নিরাপদে আছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়। তবে প্রেসিডেন্ট বিদ্রোহীদের হেফাজতে নেই বলে মালির একজন সরকারি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে কেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোসেস ওয়েট্যাঙ্গুলা এবং তার সঙ্গে থাকা প্রতিনিধি দল মালিতে আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে। রাজধানী বামাকোর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার কারণে তারা বের হতে পারেননি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
আফ্রিকান ইউনিয়ন রাষ্ট্রগুলোর একটি বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য তারা দেশটি সফরে গিয়েছিলেন।
এদিকে বিদ্রোহী সেনাদের এ সব কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মালির সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বলবৎ করে অবিলম্বে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য বিদ্রোহী সেনাদের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংক ও আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বলেছে, অচলাবস্থা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা মালিতে সকল সাহায্য স্থগিত রাখবে।
এদিকে পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্রগুলোর জোট ‘ইকোয়াস’ অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে বলেছে,‘বিদ্রোহী সেনাদের আচরণ তিরস্কার যোগ্য। ’ এর পাশাপাশি আফ্রিকান ইউনিয়ন এই অভ্যুত্থানকে মালির জন্য দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছে। মালির সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক ফ্রান্স এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দেশটিতে সকল সাহায্য প্রেরণ স্থগিত করেছে।
পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্র মালি গত ২০ বছর ধরে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত। আফ্রিকার এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য মালিকে গণতন্ত্রের মডেল হিসেবে অভিহিত করা হতো।
বাংলাদেশ সময় : ১২৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১২
সম্পাদনা : রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর