ঢাকা : স্থানীয় একটি ফুটবল ক্লাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকে কেন্দ্র করে মিসরের বন্দর নগরী পোর্ট সাইদে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। ১ ফেব্রুয়ারির ফুটবল দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে মিসরীয় লীগের অন্যতম শীর্ষ দল আল মাসরিকে নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আসলে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
আল মাসরির ক্ষুব্ধ সমর্থকরা এসময় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে কমপক্ষে একজন নিহত এবং বহুসংখ্যক আহত হন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
গত ১ ফেব্রুয়ারি পোর্ট সাইদের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত একটি ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে সংঘটিত দাঙ্গায় কমপক্ষে ৭৪ জন মারা যায়। সংঘর্ষে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় ক্লাব আল মাসরিকে নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার মিসরীয় ফুটবল এসোসিয়েশন জানায় তারা আল মাসরি ক্লাবকে ২০১৩ সালের শেষ পর্যন্ত সকল প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া থেকে নিষিদ্ধ করেছে।
এর পাশাপাশি দাঙ্গায় জড়িত অপর দল কায়রোর আল আহলিকে চার ম্যাচ ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ফুটবল এসোসিয়েশন। এর পাশাপাশি ক্লাবটির কোচ ও অধিনায়ককে বহিষ্কার ও জরিমানা করা হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি পোর্ট সাইদ নগরীর স্টেডিয়ামে আল আহলি এবং আল মাসরির মধ্যে মিসরীয় ফুটবল লিগের একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় স্থানীয় ক্লাব আল মাসরি ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকলেও ক্লাবটির সমর্থকরা স্টেডিয়ামে বিপক্ষ দল আল আহলির সমর্থক এবং খেলোয়ারদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এদিকে ১ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় মানুষ হত্যা ও কর্তব্য অবহেলার দায়ে গত সপ্তাহে ৭৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন মিসরের প্রধান কৌঁসুলি। অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ জন পুলিশ অফিসারও আছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
মিসরের ফুটবল ইতিহাসের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দু`টি দলের খেলা উপলক্ষে স্টেডিয়ামটিতে সে সময় ব্যাপক নিরাপত্তা উপস্থিতি থাকলেও অভিযোগ করা হয় সেদিন ইচ্ছাকৃতভাবে উগ্র সমর্থকদের ছুরি ও অন্যান্য প্রাণঘাতী অস্ত্র-শস্ত্রসহ মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময় : ১২৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১২
সম্পাদনা : রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর