ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিদেশি গুপ্তচররা হরহামেশা প্রবেশ করছে বলে খোদ মার্কিন রাজনীতিকরাই অভিযোগ করেছেন।
অবশ্য সিনেটের আর্মস সার্ভিসেস সাব-কমিটির সঙ্গে এক উন্মুক্ত অধিবেশনে তাদের এই অভিযোগের পক্ষেই সাক্ষ্য দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
তা সত্ত্বেও, সাইবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নেটওয়ার্কে গুপ্তচরদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর চেয়ে এখন তথ্য-উপাত্তের নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা আরো বলেছেন, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নেটওয়ার্কে অনুপ্রবেশ করছে সেসব দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
ইউএস ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি এবং সরকারি গবেষণাগার থেকে আসা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উন্মুক্ত অধিবেশনে আরো বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা দফতরের নেটওয়ার্কের নিরাপত্তার জন্য যেভাবে চিন্তা করে যুক্তরাষ্ট্রকে সেই ভাবনাটা পাল্টাতে হবে।
স্যানডিয়া ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজের ইনফরমেশন সিস্টেমস অ্যানালাইসিস সেন্টারের প্রধান ড. জেমস পেরি বলেছেন, ‘আমাদের এমন একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা দরকার যেখানে বিপুল বৈচিত্র্য থাকবে। ’
ড. জেমসের পরামর্শ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতরের নেটওয়ার্ক সাজালে শক্তিশালী ফায়ারওয়াল সিস্টেম তৈরি হবে এবং তথ্য চুরি অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতরের নেটওয়ার্ক সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকার কারণে তার ব্যবস্থাপনার কাজটাও অনেক কঠিন। বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য মতে, দেশের বাইরে প্রতিরক্ষা দফতরের ১৫ হাজার নেটওয়ার্ক আছে যা ৭০ লাখ যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত।
বাংলাদেশ সময় : ১৬২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর