ঢাকা : প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর বিন্দুতে পৌঁছুতে সক্ষম হয়েছেন হলিউডের চিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরন। রোববার প্রশান্ত মহাসাগরী দ্বীপ গুয়ামের অদূরে অবস্থিত মারিয়ানা ট্রেঞ্চ বলে অভিহিত এই খাদের সবচেয়ে গভীর বিন্দুতে পৌঁছায় ক্যামরনের সাবমেরিন।
টাইটানিক ও অ্যাভাটার সহ বিশ্বের আরো অসংখ্য সাড়া জাগানো ছায়াছবির জনক এই চিত্র পরিচালক মারিয়ানা ট্রেঞ্চ অভিযানে বিশেষ ভাবে তৈরী একটি সাবমেরিন ব্যবহার করেন।
১২ টন ওজনের এই সাবমেরিনটি নিয়ে তিনি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাগর তলে প্রায় ১১ কিলোমিটার নিচে নেমে যান। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টার কিছু আগে অভিযান শেষ করে তার সাবমেরিন নিরাপদেই সাগরে মাথা তোলে বলে জানান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির স্টেফানি মনটেগোমারি।
তিনি প্রায় ছয় ঘণ্টা অবস্থান করে মারিয়ানা ট্রেঞ্চের ভিডিও চিত্র ধারন করেন। সাগরের গভীর থেকে উঠে সাবমেরিনের ঢাকনা খুলে বেরিয়ে এসে ক্যামেরনের প্রথম কথা ছিলো,‘সব কিছু ঠিক আছে। ’
সাবমেরিনটি নিয়ে ক্যামেরন মারিয়ানা ট্রেঞ্চের প্রায় ১০ হাজার ৮৯৮ মিটারেরও বেশি গভীরে নেমে যান। মারিয়ানা ট্রেঞ্চ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়াম থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত।
পৃথিবীর গভীরতম খাদ হিসেবে অভিহিত মারিয়ানা ট্রেঞ্চের গভীরতা গ্রান্ড ক্যানিয়নের গভীরতা থেকে প্রায় ১২০ গুন বেশি। এছাড়া এভারেস্ট পর্বত শৃংগের উচ্চতা থেকেও এর গভীরতা ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার বেশি।
ক্যামেরন এই অভিযানে ডিপ সি চ্যালেঞ্জার নামের ১২ টন ওজনের একটি সাবমেরিন ব্যবহার করেন। খাদের গভীর থেকে তিনি জীব ও প্রানী বিজ্ঞানীদের গবেষণা জন্য নমুনা সংগ্রহ করে এনেছেন বলে জানা যায়।
মারিয়ানা ট্রেঞ্চের এই গভীরতায় এর আগেও একবার অভিযান চালানো হয়েছিলো। সুইজারল্যান্ডের প্রকৌশলী জেকুইস পিকার্ড ও মার্কিন নৌবাহিনীর ক্যাপটেন ডন ওয়ালশের বাহন সাবমেরিনটি খাদের এই গভীরতায় পৌঁছাতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় নেয়। কিন্তু তারা সেখানে বেশি সময় অবস্থান করতে পারেননি। ২০ মিনিট অবস্থান করেই তাদের সেখান থেকে উঠে আসতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১২
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর