ঢাকা : সিরিয়ার সহিংসতা নিরসনে কফি আনানের প্রস্তাবে বাশার আল আসাদ সরকারের সম্মতিদানকে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো।
এদিকে সহিংসতা নিরসনে শান্তি প্রস্তাবের শর্তগুলো পালন করতে বাশার আল আসাদের সদিচ্ছার প্রতি সংশয় প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
‘আসাদের ইতিহাস, অধিক প্রতিশ্রুতি আর সামান্য বাস্তবায়ন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার অঙ্গীকারকে অবশ্যই কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।
হিলারি ক্লিনটন বলেন, প্রেসিডেন্ট আসাদকে অবশ্যই আক্রান্ত এলাকায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশের ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া তাকে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি তিনি সিরিয়ার বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান।
হিলারির অনুরূপ মন্তব্য প্রতিধ্বনিত হয়েছে অন্যান্য পশ্চিমা শক্তিগুলোর কণ্ঠেও।
এদিকে মঙ্গলবার দিনের শেষে প্রতিবেশী তুরস্কে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিরিয়ার বেশ কয়েকটি সরকারবিরোধী গ্রুপ সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলকে সিরিয়ার বৈধ রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের একতাবদ্ধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইস্তাম্বুলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সহিংসতা বন্ধের জন্য কফি আনানের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সিরিয়ার সরকারকে স্বাগত জানিয়েছেন কফি আনানের মুখপাত্র আহমেদ ফয়জি। সিরিয়ার শান্তি প্রস্তাব গ্রহণ সহিংসতা বন্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এর সফলতার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তবে তিনি যোগ করেন ‘প্রস্তাবের শর্তগুলো বাস্তবায়নই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’।
এর পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনান সিরিয়ার সহিংসতা বন্ধে তার মধ্যস্থতা প্রচেষ্টাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বর্তমানে চীনা প্রেসিডেন্ট ওয়েন জিয়াবাওয়ের সঙ্গে কথা বলতে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অবস্থান করছেন। শান্তি পরিকল্পনার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভ করতে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো সফরের অংশ হিসেবে তিনি বেইজিং সফরে যান।
বাংলাদেশ সময় : ১২৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১২
সম্পাদনা : রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর