ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সৌদি আরবের সম্মতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সৌদি আরবের সম্মতি

ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হাজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে সৌদি আরব সরকার।

রোববার দুপুরে সৌদি আরবের জেদ্দায় হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (৭ অক্টোবর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টার প্রস্তাবে সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে হাজযাত্রী পাঠাতে সৌদি আরব সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে পানিপথে জাহাজযোগে দুই-তিন হাজার হাজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে।



সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী হাজযাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে আপগ্রেড করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেন। তিনি হজ এজেন্সির মালিক অথবা তাদের প্রতিনিধির অনুকূলে মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসা ইস্যুর ব্যাপারেও ধর্ম উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন। এ ছাড়া, রুট টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে হজযাত্রীদের বেশ কিছু লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও মন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টাকে আশ্বাস দেন।

এ বছর সৌদি আরব হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি এজেন্সিকে কমপক্ষে দুই হাজার হাজি পাঠানোর কোটা নির্ধারণ করা হয়। এ ব্যাপারে ধর্ম উপদেষ্টা ২০২৪ সালের অনুরূপ এজেন্সি প্রতি ২৫০ জন কোটা পুনঃনির্ধারণের অনুরোধ জানালে সৌদি আরবের মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রীকে সহায়তা করেন সে দেশের হজ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ড. হাসান আল মানাখেরা এবং হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বদর আল সেলামী।

এ সময় ধর্মসচির মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রাকিবুল্লাহ, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবির, জেদ্দা হজ মিশনের কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম, হজ কনসাল মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৪
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।