ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে পবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত

মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৬
লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে পবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ থেকে: ধর্মীয় মর্যাদায় সারাদেশে পালিত হয়েছে পবিত্র জুমাতুল বিদা। রোজার ২৫তম দিনে পালিত হলো এবারের জুমাতুল বিদা।

এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ রাজধানীর মসজিদগুলোতে ছিল নানা বয়সী মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি।

রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা হিসেবে পালিত হয়। শুক্রবার (১ জুলাই) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজে অংশ নেন বিপুল সংখ্যক মুসল্লি। এ জন্য সকাল থেকে মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায় গড়ে তোলা হয় ব্যাপক নিরাপত্তা বলয়।

আরবি রমজান মাসের শেষ শুক্রবারে জুমা পরিচিত জুমাতুল বিদা হিসেবে। আজকের জুমায় অংশ নিতে সকাল থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে মুসল্লিরা আসতে থাকেন মসজিদে মসজিদে। প্রস্তুতি নেন জুমার নামাজ আদায়ের জন্য।

এমনিতেই সপ্তাহে জুমার দিন অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। এর ওপর রমজানের শেষ জুমা হওয়ায় এই দিনটিকে ফজিলতময় মনে করা হয়। যদিও জুমাতুল বিদার স্বতন্ত্র মর্যাদা ও তাৎপর্য সম্পর্কে হাদিসে তেমন কিছু উল্লেখ নেই।

তবে এ দিনটি রোজাদারকে স্মরণ করিয়ে দেয়, রমজানের শেষলগ্নে এবার এর চেয়ে ভালো কোনোদিন আর পাওয়া যাবে না। সুতরাং এ পুণ্যময় দিনটির যথাযথ সদ্ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করেন আলেমরা।

বায়তু মোকররম জাতীয় মসজিদে দেখা গেছে, আজানের পর পরই মুসল্লিরা নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে সুবিধাজনক জায়গায় বসে পড়েছেন। মুসল্লিদের জন্য চলতে থাকে খুতবাপূর্ব বিশেষ বয়ান। পরে রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাসের শেষ শুক্রবারে নামাজ আদায়ে এক কাতারে দাঁড়ান মুসল্লিরা।

নামাজের পরের মোনাজাতে দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে পাপ থেকে মুক্তি ও ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গল কামনা করেন তারা। রমজানকে বিদায় জানাতে গিয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন অনেকেই। দেখা যায়, নামাজ শেষে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে মসজিদের বাইরে নামাজ আদায়কারীরা মোনাজাতে অংশ নেন। লাখো মানুষের কান্নার আওয়াজে বায়তুল মোকাররম এলাকায় এক হৃদয়বিদারক অভূতপূবর্ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

জুমাতুল বিদার মধ্য দিয়ে মূলত মাহে রমজানকে বিদায় জানানো হয়। তাৎপর্যপূর্ণ এ দিনটি আল কুদস দিবস হিসাবেও পালিত হয়। প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বায়তুল মোকাদ্দাসে ইহুদিদের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করেন।

জুমাতুল বিদায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত হন। একপর্যায়ে মসজিদের ভেতর ভরে গিয়ে অনেকে মসজিদের আঙিনা ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন।

নামাজের আগে জুমাতুল বিদার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় রমজান ছাড়া এগারো মাস রমজানের শিক্ষা ধারণ করে জীবন চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হযেরত মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান।

নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া রাজধানীসহ সারা দেশে পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে বিশেষ দোয়া হয়।

দোয়ায় গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি সমৃদ্ধি কল্যাণ ও সুখ কামনা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়:  ১৪৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।