ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

শুক্রবারের বিশেষ আমলে বিপুল সওয়াব

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
শুক্রবারের বিশেষ আমলে বিপুল সওয়াব ছবি : প্রতীকী

রাসুল (সা.) এর প্রতি সালাম (দরুদ) পাঠানো প্রত্যেক মুমিনের উপর কর্তব্য। আল্লাহতায়ালা নিজেই তার বান্দাদের তার (সা.) প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। হাদিসেও বলা হয়েছে, ‘ওই ব্যক্তি সবচেয়ে কৃপণ, যে আমার নাম শুনেও সালাম পাঠায়নি।’

নবী করিম (সা.)-এর ওপর দরুদ পড়লে বা তার কাছে সালাম পাঠালে আমাদেরই লাভ। একবার সালাম পাঠানোর বিনিময়ে আল্লাহতাআলা ১০টি করে দেবেন।

তবে শুক্রবারে দরুদ পাঠে আরো বেশি ও তাৎপর্যবহ সওয়াব এবং ফজিলত রয়েছে।  

আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার ওপর জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ আমার উম্মতের দরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠাবে, সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে। ’ (তারগিব, হাদিস নং : ১৫৭)

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এইমাত্র আল্লাহ তাআলার বাণী নিয়ে হাজির হলেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে আমি তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য দশবার ইস্তেগফার করে। ’ (তারগিব : ৩/২৯৯)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার ওপর দরুদ পাঠ করা পুলসিরাত পার হওয়ার সময় আলো হবে। যে ব্যক্তি জুমার দিন ৮০ বার দরুদ পড়ে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। ’

অন্য রেওয়াতে নবী করিম (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর নিজ স্থান থেকে ওঠার আগে ৮০ বার এই দরুদ শরিফ পাঠ করে, ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিইয়্যিল উম্মিইয়ি ওয়া আলা আলিহি ওয়া আস হাবিহি ওয়াসাল্লিমু তাসলিমা’। তার ৮০ বছরের পাপ ক্ষমা হয়ে যায় এবং ৮০ বছরের ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হয়। ” (আফজালুস সালাওয়াত : ২৬)

আলী (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নবী করিম (সা.) এর ওপর জুমার দিন ১০০ বার দরুদ পাঠ করে, সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল!’ (কানজুল উম্মাল, হাদিস নং : ১৭৪)

আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার ওপর জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ এ হলো এমন মোবারক দিন; যে দিনে ফেরেশতারা উপস্থিত হয়। যখন কোনো ব্যক্তি আমার ওপর দরুদ পাঠ করে ওই দরুদ সে পড়ার আগেই আমার কাছে আনীত হয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার ইন্তেকালের পরেও কি আপনার কাছে আনীত হবে? রাসুল (সা.) বলেন, ইন্তেকালের পরেও। আল্লাহতাআলা জমিনের জন্য সব নবীর দেহ হারাম করে দিয়েছেন। ’ (তারগিব : ৩/৩০৩)

আল্লাহতাআলা আমাদের প্রত্যেককে প্রিয় নবীর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের তওফিক দান করুন।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
এমএমইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।