ঢাকা, সোমবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ৩০ জুন ২০২৫, ০৪ মহররম ১৪৪৭

ইসলাম

সুলতান আব্দুল সামাদ জেমক মসজিদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪১, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯
সুলতান আব্দুল সামাদ জেমক মসজিদ সুলতান আব্দুল সামাদ জেমক মসজিদ

সুলতান আব্দুল সামাদ জেমক মসজিদ মালয়শিয়ার অন্যতম প্রাচীন ও বিখ্যাত মসজিদ। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘মসজিদ জামেক’ বা ‘জামে মসজিদ’ নামেই পরিচিত। রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত মসজিদটি ক্লাং এবং গোম্বাক নদীর মোহনায় অবস্থিত। যদিও বর্তমানে বোঝা যায় না, এখানে এক সময় নদী ছিল।

আধুনিক নির্মাণশৈলী ও নান্দনিক শৈল্পিকতায় সারাটা মসজিদ-কমপ্লেক্সে অন্যরকম আবহ কাজ করে। এটি ১৯০৭ সালে ইসলামী মুঘল স্থাপত্যরীতি ও মালয়শিয়ার ঐতিহ্য সন্নিবেশে  এটি তৈরি করা হয় এবং ১৯০৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

তবে ১৯৬৫ সালে মালেশিয়ার জাতীয় মসজিদ নির্মাণের আগে এটিই কুয়ালালামপুরের প্রধান মসজিদ ছিল।

সুলতান আব্দুল সামাদ জেমক মসজিদ

মসজিদটির সামনের দিকে দুইটি মিনার ও মূল ভবনে তিনটি গম্বুজ রয়েছে। মাঝের গম্বুজটি ৭০ ফুট ও মিনার দুইটি ৮৮ ফুট উচ্চতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মিনার দুইটিতেও রয়েছে ছাতাকৃতির গম্বুজ। বর্তমানে মুসল্লিদের সংকুলান না হওয়ায়  মূল মসজিদের দুইপাশে দুইটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও মূল ফটকের সামনের অংশে ছাতাকৃতির কয়েকটি দর্শনীয় স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।

এককালের নদী দুইটোকে আধুনিক লেক বানিয়ে রং-বেরঙের বাতি লাগিয়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে মসজিদের মূল অংশ ঠিক রেখে চারপাশ আধুনিক ডিজাইন আর দামী পাথর দিয়ে নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হয়েছে। তার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে চমৎকার একটি ব্রিজ, যা মসজিদের পশ্চিম পাশের মারদাকা মাঠের (জাতীয় মাঠ) সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

সুলতান আব্দুল সামাদ জেমক মসজিদ

সুলতান আব্দুল সামাদ জেমক মসজিদ
অবস্থান:
কুয়ালালামপুর, মালয়শিয়া 
নির্মাণ: ১৯০৭-১৯০৯
স্থাপত্যশৈলী: ইসলামী ও মুঘল স্থাপত্যরীতির আদলে
মুসল্লির ধারণ ক্ষমতা: তিন হাজার মুসল্লি
গম্বুজ: তিনটি; মিনার: দুইটি
কুয়ালালামপুর ইসলামী কাউন্সিল বর্তমানে মসজিদটি পরিচালনা করছে।

লেখক, মালয়শিয়া প্রবাসী আলেম

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।