ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ইজতেমা ময়দানে দেশের বৃহৎ জুমার নামাজ আদায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
ইজতেমা ময়দানে দেশের বৃহৎ জুমার নামাজ আদায়

গাজীপুর: টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই এ জামাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মুসল্লিসহ গাজীপুর ও ঢাকার আশপাশের সব জেলার মুসল্লি এতে অংশ নেয়।

 

জুমার নামাজে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানের আশপাশের বিভিন্ন সড়ক, ফুটপাত ও খালি জায়গায় অবস্থান নেয় মানুষ। এছাড়া অনেকেই বাড়ির ছাদ, নৌকা, গাড়ির ছাদে পাটি, পলিথিন, চট ও পত্রিকা বিছিয়ে নামাজে অংশ নেয়।  

এর আগে বাদ ফজর আমবয়ানে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা করছেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা।  

৩ দিনব্যাপী ইজতেমার এ পর্বের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আম ও খাস বয়ান, তালিম, তাশকিল, ৬ উছুলের হাকিকত, দরসে কোরআন, দরসে হাদিস, চিল্লায় নাম লেখানো, নতুন জামাত তৈরি ও যৌতুকবিহীন বিয়ে।  

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বাদ আছর ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রাক বয়ান শুরু করেন বাংলাদেশের ফায়সাল সুরা ওয়াসিফুল ইসলাম। পরে বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা শামীম।  

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বাদ ফজর বয়ান করেন মদিনার মাওলানা ওসমান। আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এর আগে গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) থেকে রোববার (১২ জানুয়ারি) পর্যন্ত ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।  

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমারও প্রথম দিন শুক্রবার হওয়ায় কয়েক লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে এদিন দেশের বৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।  

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার থেকেই ইজতেমা ময়দানে ভিড় জমান ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এখনও ইজতেমা ময়দানে মানুষের আগমন চলছে। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত তাদের এ আগমন অব্যাহত থাকবে।  

এদিকে ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও থাকছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের সব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি করছে।  

এ পর্বের ইজতেমা পরিচালনার ব্যাপারে বাংলাদেশের ফায়সাল সুরা ওয়াসিফুল ইসলাম জানান, ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভি এ ইজতেমায় আসবেন না। তবে নিজামুদ্দিনের পক্ষ থেকে তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি ও আলেমসহ ৩২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইজতেমায় এসেছেন। তাদের তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত হবে এ পর্বের ইজতেমা।  

বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকেই মানুষ অংশ নিয়েছেন দ্বিতীয় পর্বের এ ইজতেমায়। তারা জেলাভিত্তিক নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন।  

শুধু দেশ নয়, দেশের বাইরে থেকেও ইজতেমায় অংশ নিতে এসেছেন অনেক অতিথি। সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, তুরস্ক, এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ থেকে এসেছেন তারা।  

এদিকে আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে দ্বিতীয় পর্বেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ইজতেমা ময়দানের উত্তর পাশে নিউ মন্নু কটন মিলের ভেতরে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
আরএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।