ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন, প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন, প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে

ঢাকা: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে র‌্যাগিংয়ের নামে ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগীদের ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।  

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান মিল্টন এ প্রতিবেদন জমা দেন।

এর আগে কমিটির প্রতিবেদন পেয়ে রোববার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেছিলেন, ‘সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দশনা মোতাবেক উপাচার্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। আমরা সেই কমিটির রিপোর্ট আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) হাতে পেয়েছি। এটি হাইকোর্টে পাঠানো হবে। এরপর হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, এ বিষয়ে কিছু বলার অনুমতি আমাদের নেই। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তারা চাইলে বলতে পারেন।

এর আগে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডলকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত কমিটি ১৮ ফেব্রুয়ারি তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে, ২৩ ফেব্রুয়ারি দিনভর পর্যালোচনায় বসেন তারা।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন। তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।

অভিযোগ ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তারা ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে রাখেন।

এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। র‌্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) হল প্রভোস্ট, প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।  

বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে।

এর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। হাইকোর্ট প্রশাসন ক্যাডার, বিচার বিভাগ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরে সমন্বয়ে একটি কমিটি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এ সময় দুই অভিযুক্তকে ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে বলা হয়।  

আর পরবর্তী আদেশের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন।

ইবির হলে ছাত্রী নির্যাতন: প্রতিবেদন জমা দিলো তদন্ত কমিটি

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
ইএস/এসআইএস


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।