ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হিরো আলমের ওপর হামলা: ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার দুজন রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
হিরো আলমের ওপর হামলা: ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার দুজন রিমান্ডে

ঢাকা: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনার ভিডিও দেখে গ্রেপ্তার করা দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

রিমান্ডে নেওয়া দুই আসামি হলেন মানিক গাজী ও আল আমিন। তাদের ঘটনার মূল হোতা বলে দাবি করেছে পুলিশ।

এ দিন তাদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক নুরে উদ্দিন। সেই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

গত বুধবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হিরো আলমের ওপর হামলায় এ দুজন সরাসরি জড়িত। হামলার সময় হিরো আলমের কোমর ধরে রেখেছিলেন মানিক, আর তাকে মারধর করেন আল আমিন। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ দুজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ১৮ জুলাই এ ঘটনায় গ্রপ্তার ৭ আসামির মধ্যে দুজনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে নেওয়া দুজন হলেন—ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেন। এছাড়া অপর পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে যাওয়া পাঁচজন হলেন—মাহমুদুল হাসান, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লা।

গত ১৮ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বনানী মডেল থানায় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, গত ১৭ জুলাই সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় হিরো আলম বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান। প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ৫-৬ সহযোগীসহ হিরো আলম বের হয়ে আসার সময় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন তার গতিরোধ করেন।

এ সময় তারা হিরো আলমকে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে আক্রমণ করে এবং এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতনামা একজন হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে আরেকজন এসে হিরো আলমের তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।

বাদী এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে এবং টানা-হেঁচড়া করে। এ সময় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব খন্দকার, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে আসলে তাদেরও মারপিট করে জখম করে আসামিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।