চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) নতুন ট্যারিফ সিডিউলের বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নতুন ট্যারিফ সিডিউল প্রত্যাহার চেয়ে বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
বিসিএসএ’র দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী জিনাত হক এবং বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ফররুখ রহমান ।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ফররুখ রহমান জানান, আদালত মঙ্গলবার রুল জারি করেছেন। রুলে এস.আর.ও. নং ৩৬৪-আইন/২০২৫ (নতুন ট্যারিফ সিডিউল)-কে কেন বেআইনি এবং আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। একইসঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে বিসিএসএ-এর ১৪ অক্টোবর দেওয়া চিঠিটি ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ওই চিঠিতে বিতর্কিত এসআরও-টি অবিলম্বে বাতিল ও প্রত্যাহারের জন্য বিসিএসএ’র বিস্তারিত আপত্তি এবং দাবি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে চবক’র নতুন ট্যারিফ সিডিউল, যা ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। বিসিএসএ’র দাবি, নতুন এই সিডিউলটি পরিচালন ব্যয়ে একটি অভূতপূর্ব এবং অযৌক্তিক বৃদ্ধি ঘটিয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে প্রায় ৭০ শতাংশ বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বন্দরের পরিচালনগত ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে এই ট্যারিফ বৃদ্ধি সুস্পষ্টভাবে অযৌক্তিক এবং এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ ও ১৯০৮ সালের বন্দর আইনের অধীনে বাধ্যতামূলক বিধিবদ্ধ নোটিশের সময়সীমা লঙ্ঘন করেছে।
আরও পড়ুন>> বন্দরের ট্যারিফ পুনর্বিবেচনায় প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চান আমীর হুমায়ুন
ইএস/এএটি