ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নরসিংদীতে মাদরাসাছাত্র হত্যার দায়ে এক আসামির যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪
নরসিংদীতে মাদরাসাছাত্র হত্যার দায়ে এক আসামির যাবজ্জীবন 

নরসিংদী: নরসিংদীর শিবপুরে আবুল বাশার ওরফে বাদশা নামে এক মাদরাসাছাত্রকে হত্যার দায়ে রায়হান মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক শামিমা পারভিন এ রায় ঘোষণা করেন।  

সাজাপ্রাপ্ত রায়হান মোল্লা শিবপুরের সৈয়দনগর পাঁচভাগ এলাকার বাচ্চু মোল্লার ছেলে।

আদালতের একটি সূত্র জানায়, স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তানদের নিয়ে দিলরুবা নামে এক নারী তার বাবার বাড়ি শিবপুর উপজেলার সৈয়দনগর পাঁচভাগ এলাকায় বসবাস করতেন। দুই সন্তানের মধ্যে আবুল বাশার ওরফে বাদশা মোল্লা স্থানীয় একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করত। টাকা প্রয়োজন হওয়ায় ২০০৬ সালের ১৮ জুলাই বাবার বাড়িতে যায় বাদশা। ওই সময় বাদশা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে লাগানো কলাক্ষেত থেকে কলার ছড়ি কাটতে গেলে বাঁধা দেন প্রতিবেশী বাচ্চু মোল্লা, তার ছেলে রায়হান মোল্লা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের কথা উপেক্ষা করে কলার ছড়ি কাটায় বাচ্চু মোল্লার নির্দেশে তার ছেলে রায়হান মোল্লা পেছন থেকে বাদশার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন। পরে গুরুতর অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার একদিন পর তার মৃত্যু হয়।  

এ ঘটনায় নিহতের দাদা নুরুল ইসলাম মৃধা বাদী হয়ে রায়হান মোল্লাসহ চারজনকে আসামি করে শিবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে রায়হান মোল্লাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার এ রায় দেন আদালত।  

আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আসাদ্দুজ্জামান বলেন, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।