ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক দুই আসামি মেহেদী হাসান ও মো. হৃদয় ইসলামের দুই দিন ও মো. রিপনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এ তিন আসামি আগেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির রমনা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতার মোরশেদ তাদের চার দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে আসামিদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তারা অভ্যাসগত অপরাধী। তাদের সঠিক নাম-ঠিকানা ও পিসি/পিআর (পূর্ববর্তী অপরাধ ও মামলার তথ্য) যাচাইয়ে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
সেই রিমান্ড শুনানির জন্য আজ বিকেলে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন শামছুদ্দোহা সুমন। আসামিপক্ষে আমানুল করিম লিটনসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তারা বলেন, শুধু নাম-ঠিকানা উদ্ধার বা পিসি-পিআর যাচাইয়ের জন্য রিমান্ডের কোনো প্রয়োজন নাই। তাদের পরিবারের লোক হাজির আছে। তাদের থেকেই নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা যায়।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী কাইয়ুম হোসেন নয়ন আসামিপক্ষের আইনজীবী আমানুল করিম লিটনের আসামিপক্ষে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, আপনাকে বিএনপির সব জায়গায় দেখি। এটা ছাত্রদল হত্যা মামলা। এ মামলায় আপনি কীভাবে আসামিপক্ষে দাঁড়ালেন?
শুনানি শেষে বিচারক তিন আসামির এ রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় গত ১৩ মে রাত ১১টার ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। ওই দিন রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম ডিএমপির শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
কেআই/আরআইএস