ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জোড়া খুনের মামলায় সাবেক এসপি কোহিনুর মিয়া খালাস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
জোড়া খুনের মামলায় সাবেক এসপি কোহিনুর মিয়া খালাস

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের নান্দাইলের ডাবল মার্ডার মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন তৎকালীন আলোচিত পুলিশ সুপার (এসপি) কোহিনুর মিয়া এবং সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস ছাত্তার ভুঁইয়া উজ্জ্বল।  

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সাবরিনা আলী এই রায় ঘোষণা করেন।

 

সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান মুকুল এই তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিরপরাধীদের এই মামলায় আসামি করা হয়েছিল। আজ এই রায়ের মাধ্যমে আসামিরা ন্যায় বিচার পেয়েছেন। এর ফলে পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া চাকরিতে যোগদানের আর কোনো আইনি বাঁধা রইল না।  

এর আগে ২০০৪ সালের ৫মে পৌর নির্বাচনে নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সুজন ও আবু তাহের নামে দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এই ঘটনায় নিহতদের পরিবার কোনো মামলা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে নান্দাইল থানায় মামলায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। পরে তদন্ত শেষে আসামি শনাক্ত না হওয়ায় তিন বার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।  

এরপর ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া আদালতে পুনরায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- নান্দাইলের সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরী, তৎকালীন পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া ও পৌর মেয়র আব্দুস ছাত্তার ভুঁইয়া উজ্জ্বলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

পরে আদালতের নির্দেশে নান্দাইল থানা পুলিশ মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে প্রমাণ না হওয়ায় ওই বছরই তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়। এরপর ওই তদন্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া নারাজি দিয়ে ২০০৮ সালে জেলা জজ আদালতে একটি রিভিশন আবেদন দায়ের করেন। পরে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর সিআইডি ২০১১ সালে এসপি কোহিনুর মিয়া ও নান্দাইল পৌর সভার মেয়র আব্দুস ছাত্তার ভুঁইয়া উজ্জ্বলের নামে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে।  

দীর্ঘ ২০ বছর ৬ মাস ৩ দিন চলাকালে আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাবেক আলোচিত পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া ও পৌর মেয়র প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া উজ্জ্বলকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানা যায়, রায় প্রদানের সময় আসামি আব্দুস ছাত্তার ভুঁইয়া উজ্জ্বল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মামলার শুরু থেকে পলাতক ছিলেন অপর আসামি এসপি কোহিনুর মিয়া।

মামলায় আসামি পক্ষের আদালতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট এএইচ এম খালেকুজ্জামান, অ্যাডভোকেট এমএ হান্নান খান এবং রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট আনোয়ার আজিজ টুটুল।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।