ঢাকা: রাজধানীর ডেমরায় রানা নামে এক যুবক হত্যা মামলায় ৮ বছর পর হলো পুনঃবিচারের রায়। যাতে চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২১ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে মাসুদ, আল আমিন ওরফে আলম, শফিকুল ইসলাম ওরফে রবিন ও জাহাংগীর হোসেন। আর বাবলা ও মনির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর একই আদালতের বিচারক আবদুর রহমান সরদার চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর গিয়াস উদ্দিন জানান, রায়ের পর মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে দেখা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ৬ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। পরে হাইকোর্ট মামলাটি পুনরায় বিচারের জন্য ফের ট্রাইব্যুনালে পাঠান। একইসঙ্গে মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
কারাগারে থাকা আসামি আল আমিন, শফিকুল ইসলাম, মাসুদ এবং বাবলাকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের ফের কারাগারে পাঠানো হয়। মনির এবং জাহাংগীর পলাতক। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ডেমরা থানার শূন্যচেংড়া গ্রামের আব্দুল আলীমের ফাঁকা জমিতে রানার মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনার পরদিন ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মাসুদ ও আল আমিন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
কেআই/জেএইচ