ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ কার্তিক ১৪৩২, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

আইন ও আদালত

অবসরপ্রাপ্ত মেজর মাসুদসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:১১, অক্টোবর ২০, ২০২৫
অবসরপ্রাপ্ত মেজর মাসুদসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন থাকায় অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান খান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদসহ আটজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের পৃথক ৫ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।

 

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।  

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন- হাবিবুর রহমানের স্ত্রী সাবিনা রহমান খান, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. শহীদ, মোহাম্মদ জাহিদ, মোহাম্মদ ফরমান উল্লাহ চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন ও তার স্ত্রী জহুরা আহম্মদ শুভ।  

আবু সাঈদের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক ইকরাম হোসেন জেনসন নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান চলমান আছে।

অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত বিভিন্ন রেকর্ডপত্র পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ২০২০ সালের ২০ জুন মাসুদ পাসপোর্ট গ্রহণ করেন এবং অবৈধভাবে অর্থসহ আত্মগোপন করেন। বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আসামি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তার বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।

হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত ল্যাফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান খানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানকালে গোপনসূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন। তবে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।  

অন্য আবেদনেও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তাধীনের কথা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তারা যে কোনো সময় দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। এজন্য সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান আবশ্যক।

শুনানি শেষে বিচারক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।  

কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।