ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, ১০ জুলাই ২০২৫, ১৪ মহররম ১৪৪৭

আইন ও আদালত

দুদকের সেই শরীফকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৪৪, জুলাই ৯, ২০২৫
দুদকের সেই শরীফকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ শরীফ উদ্দিন।

২০২২ সালে কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ না দিয়েই বরখাস্ত করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।  

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (৯ জুলাই) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

 

আদালতে শরীফ উদ্দিনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন।  

তিনি বলেন, রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা, সব বেনিফিট ও বকেয়া বেতনসহ চাকরিতে পুর্নবহালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার চাকরিচ্যুতির আদেশকে প্রথম থেকে (ভয়েড অব ইনিশিও ) বাতিল ঘোষণা করেছেন। ধরে নেওয়া হবে তিনি সব সময় চাকরিতে বহাল ছিলেন।  

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক ছিলেন শরীফ উদ্দিন। তিনি কক্সবাজারে ৭২টি প্রকল্পে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, কিছু রোহিঙ্গার এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতি, কর্ণফুলী গ্যাসে অনিয়মসহ বেশ কিছু দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি মামলা করেন। ২০২২ সালের ১৬ জুন শরীফ উদ্দিনকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুতির কোনো কারণ উল্লেখ করেনি কর্তৃপক্ষ।  

এরপর তিনি দুদকে চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করে ব্যর্থ হয়ে ২০২২ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটে হাইকোর্ট ২০২৪ সালে রুল জারি করেন।  

এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও তিনি দুদক বরাবর আবেদন দিয়েছিলেন।  

চাকরি যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, ১৩০টার মতো মামলা শরীফকে দেওয়া হয়েছিল তদন্ত করার জন্য। এর ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার বিষয়ে তদন্ত করে। ২০২১ সালে ৩০ জুন ৬২০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই রিপোর্টে বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের বিষয় উঠে আসে। এ রিপোর্ট দাখিল করার পর তার ওপর ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। অত্যন্ত দুঃখজনক। সে অনেক সেনসেশনাল মামলা তদন্ত করেছেন। একটি অন্যতম মামলা ছিল রোহিঙ্গাদের এনআইডি দেওয়া নিয়ে দুর্নীতি। এরপর তার চাকরি চলে যায়।  

তার রিপোর্টে যে সব মানুষের নাম এসেছিল তারা শক্তিশালী মানুষ ছিল। তাদের দুর্নীতি ফাঁস করার কারণে...আজ পর্যন্ত সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে দুদক কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা জানি না। দুঃখজনক বিষয় বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন গত ১১ মাসে তাকে চাকরিতে পুর্নবহাল করেনি। অপেক্ষা করেছে আদালতের রায় আনতে হবে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন।

ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।