ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে যতদ্রুত সম্ভব আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ আবেদন করবে বলে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন আইনজীবী শিশির মনির।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন প্রক্রিয়া ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।
আদেশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী শিশির মনির জানান, অনেক প্রস্তুতি শেষ হয়ে গেছে। ২৬ তারিখে ফাইনাল প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর পাঁচ দিন চলে গেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া যদি স্থগিত থাকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করছে, তাহলে ছাত্রদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, এই জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি , যতদ্রুত সম্ভব ঘণ্টা-মিনিট হিসাব করে চেম্বার জজের আদালতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করব। এই সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করব যেন ধৈর্যের পরিচয় দেন।
তিনি আরও বলেন, এটি আদালতের বিষয়, আদালতে ফয়সালা হোক। আশা করি প্রতিকার পাব। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ্য ইস্যু মনে করে আমরা এরইমধ্যে আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের ইনস্ট্রাকশন দিয়েছে। আশা করি, আজকে অথবা আগামীকাল আইনি পদক্ষেপ দেখতে পারবেন।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম এ রিট দায়ের করেন।
রিটে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলে প্রার্থী হলেন– এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে রিট মামলায়।
ডাকসুর ভোটগ্রহণের জন্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে। শিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে সাদিক কায়েম ভিপি ও এস এম ফরহাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ডাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ৪৭১। গত ২৬ আগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার মোট ২১৭ জন প্রার্থী সদস্য পদে লড়বেন। সবমিলিয়ে ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন ৪৭১ জন প্রার্থী।
ইএস/আরএইচ