ঢাকা, সোমবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আইন ও আদালত

‘অপরাধের যে এভিডেন্স আছে দুনিয়ার যে কোনো আদালতে সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৪৭, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫
‘অপরাধের যে এভিডেন্স আছে দুনিয়ার যে কোনো আদালতে সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রসিকিউশনের কাছে যে এভিডেন্স (প্রমাণ) আছে তার ভিত্তিতে দুনিয়ার যে কোনো আদালতে অপরাধীর সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন সাক্ষ্যপ্রমাণ নয়। সেগুলো অকাট্যভাবে প্রমাণ করার মতো। অকাট্য প্রমাণ শৃঙ্খল, যার মাধ্যমে আমরা এ বিচারটাকে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে প্রমাণ করতে পারবো।  দুনিয়ার যে কোনো আদালতে যাওয়া হোক না কেন, এই সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব। ভিডিও ফুটেজের কথা বলেছি, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর কথা বলেছি। আহত ভিকটিম সাক্ষীর কথা বলেছি, ফরেনসিক সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে, মোবাইল ফোনের ভিডিও আছে, সিসিটিভি ফুটেজ আছে। আমরা বলেছি এই নিষ্ঠুর এবং নির্মম ঘটনার যে বিচার সেটি খুবই দক্ষতার সঙ্গে অকাট্যভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হবো।  

এর আগে চিফ প্রসিকিউটর ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা ও লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শেষে রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রেখেছেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আশুলিয়ায় ছয়জন আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যার পর পুলিশের ভ্যানে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় জীবিত ছিলেন একজন। এমন বর্বরতা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। সেই ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে। এর মধ্যে আটজন পলাতক। সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে আজ আনুষ্ঠানিক পর্ব শুরু হয়েছে। আগামীকাল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

গ্রেপ্তার আট আসামি হলেন- সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মালেক, আরাফাত উদ্দীন, কামরুল হাসান, শেখ আবজালুল হক এবং সাবেক কনস্টেবল মুকুল চোকদার। সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ মামলার আট আসামি পলাতক।

ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন ও আদালত এর সর্বশেষ