ঢাকা, রবিবার, ৩ কার্তিক ১৪৩২, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

আইন ও আদালত

সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ, চার্জশুনানির সময় পেলেন সালাম মুর্শেদী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২১, অক্টোবর ১৯, ২০২৫
সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ, চার্জশুনানির সময় পেলেন সালাম মুর্শেদী গ্রেপ্তারের সময় আব্দুস সালাম মুর্শেদী। পুরনো ছবি

রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় ২৭ কাঠা সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময় পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুস সালাম মুর্শেদী। রোববার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক কবির হোসেন প্রামানিক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিন আসামি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, নুরুল হক, রহমান ভুঁইয়া ও মাহবুবুল হকের পক্ষে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করা হয়।

অপরদিকে, মামলার আসামি ইফফাত হক ও তার স্বামী মোহাম্মদ আব্দুল মঈনের পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এরপর আদালত অন্য আসামিদের জন্য চার্জশুনানির পরবর্তী দিন ২৬ নভেম্বর ধার্য করেন।

এদিন আসামি সালাম মুর্শেদীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। জামিনে থাকা অন্যান্য আসামিরা আদালতে হাজিরা দেন।

মামলার অন্যান্য আসামি হলেন— রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম, প্রকৌশলী এম আজিজুল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট) লে. কর্নেল (অব.) এম নুরুল হক, সাবেক পরিচালক আবদুর রহমান ভূঁঞা, সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট) মো. আজহারুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিব উল্লাহ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সহকারী সচিব আবদুস সোবহান, সাবেক শাখা সহকারী মো. মাহবুবুল হক এবং কক্সবাজারের রামুর বাসিন্দা মীর মোহাম্মদ হাসান ও তার ভাই মীর মো. নুরুল আফছার।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি কর্মচারী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং অসৎ উদ্দেশ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে ‘খ’ তালিকাভুক্ত গুলশান আবাসিক এলাকার সিইএন (ডি) ২৭ নং, হোল্ডিং নং-২৯, রোড নং-১০৪ প্লটটি পরিত্যক্ত ২৭ কাঠা সম্পত্তির তালিকাভুক্ত থাকা সত্ত্বেও অবমুক্তকরণ ছাড়াই জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করেন। পরে হস্তান্তর অনুমতি ও নামজারি অনুমোদন করার মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের সুযোগ তৈরি করায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর সালাম মুর্শেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

কেআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন ও আদালত এর সর্বশেষ