ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

যুদ্ধাপরাধ মামলায় ৩ ভাইয়ের রায় যে কোনো দিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
যুদ্ধাপরাধ মামলায় ৩ ভাইয়ের রায় যে কোনো দিন

ঢাকা: একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের তিন ভাইয়ের রায় যে কোনো দিন (সিএভি) ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার (১১ মে) এ রায় দেন বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।

বাকি দুই সদস্য হলেন-বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী।

যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত তিন ভাই হলেন- বানিয়াচং উপজেলার মহিবুর রহমান বড় মিয়া, তার ছোট ভাই মুজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়া এবং তাদের চাচাত ভাই আব্দুর রাজ্জাক।

২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি একই মামলার আসামি মহিবুর ও মুজিবুরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল শেষ করেন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ন‍ূর হোসেন। ২৯ এপ্রিল ধানমন্ডি কার্যালয় সেফ হোমে এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা।

এর আগে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তদন্তের স্বার্থে মহিবুর রহমান বড় মিয়া ও মুজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়াকে গ্রেফতারের আবেদন জানান প্রসিকিউশন।

ওই আবেদনের শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-২।

এর পরপরই বেলা ১২টার দিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ী এলাকা থেকে খাগাউড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান বড় মিয়া (৭০) ও তার ছোট ভাই বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়াকে (৬৫) গ্রেফতার করে হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ।

পরে ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠ‍ানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

এরপর ৩১ মে এ তিনজনের বিরুদ্ধে চার অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।   ২৯ সেপ্টেম্বর  বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে চার অভিযোগ
এক. ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর বানিয়াচং উপজেলায় অভিযান চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আকল আলী ও রজব আলীকে হত্যা করে লাশ গুম করে আসামিরা।

দুই. তারা পাকিস্তানি বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মেজর জেনারেল এমএ রবের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ করে।

তিন. একই দিন খাগাউড়া এলাকার উত্তরপাড়ায় আসামিদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি বাহিনী মঞ্জব আলীর স্ত্রী ও আওলাদ ওরফে আল্লাত মিয়ার ছোট বোনকে ধর্ষণ করেন। পরে আল্লাত মিয়ার বোন বিষপানে আত্মহত্যা করেন।

চার. ১৯৭১ সালের ভাদ্র মাসের যে কোনো একদিন আনছার আলীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন চালায় আসামিরা। ওই নির্যাতনে পঙ্গুত্ব বরণ করেন আনছার আলী।

২০০৯ সালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আকল মিয়ার স্ত্রী ভিংরাজ বিবি হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগনিজেন্স-৪ এর বিচারক রাজীব কুমার বিশ্বাসের আদালতে মহিবুর রহমান বড় মিয়া ও মজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়ার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে মামলাটি (নং- ২৭০/০৯) করেন।

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে বানিয়াচং থানা পুলিশকে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে মামলাটি আদালত থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৫   
 ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।