ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গেরিলাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির আদেশ স্থগিত চান রাষ্ট্রপক্ষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬
গেরিলাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির আদেশ স্থগিত চান রাষ্ট্রপক্ষ

ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩শ’ ৬৭ জন যোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

আগামী ০২ অক্টোবর অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতির আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

গত ০৮ সেপ্টেম্বর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩শ’ ৬৭ জন যোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট।

ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি এবং প্রাপ্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা দিতেও সরকারকে নির্দেশ দেন।    

২০১৩ সালের ২২ জুলাই গেরিলা বাহিনীর ওই ২ হাজার ৩শ’ ৬৭ জন যোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- কমরেড মণি সিংহ, প্রফেসর মোজাফফর আহমেদ ও পঙ্কজ ভট্টাচার্য। পরবর্তীতে কোনো কারণ ছাড়াই ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেটিতে ওই গেরিলা যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর সরকারের তালিকা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন ওই গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ও ইউনাইটেড ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ঐক্য ন্যাপ) সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য। পরে ওই রিটের শুনানি শেষে প্রজ্ঞাপনটিকে কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত বলে ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার পর পরই ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ও সদস্যরা একটি বিশেষ গেরিলা বাহিনী গঠন করে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি গেরিলা বাহিনীর কমান্ডাররা ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকার এবং স্বাধীনতা উত্তর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকারসহ প্রতিটি সরকার এই বিশেষ গেরিলা বাহিনীকে মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী অন্যতম মুক্তিবাহিনী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬
ইএস/এএসআর

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।