সমন, পরোয়ানা ও অজামিনযোগ্য পরোয়ানা দিয়েও তাদের আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। মামলা প্রমাণে তাদের সাক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তাদের সাক্ষ্য ছাড়া মামলাও শেষ করা যাচ্ছে না।
ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ মুন্সি রফিউল আলমের আদালতে মামলাটির বিচার চলছে।
মামলাটিতে এ পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর নিহতের কিশোরী মেয়ে এ্যামি জাহান (১৩) ও একমাত্র ছেলে মাশরাফি রাব্বানী (৯) তাদের মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (স্পেশাল পিপি) ড. মো. মাহাবুব আলম ভুইঞা মিলন বাংলানিউজকে বলেন, এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের তৎকালীন প্রধান ডা. কাজী গোলাম মোখলেছুর রহমান। তিনি মামলার ভিকটিক জাহাঙ্গীর হোসেনের ময়না তদন্ত করেন। এছাড়াও পুলিশের পিএসআই আবু বকর, এসআই আরশাদ আহমেদ ও এসআই সিদ্দিকুর রহমান মামলাটির তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন।
তিনি বলেন, মামলাটি শেষ পর্যায়ে। এ পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। ডাক্তার ও তিন কর্মকর্তার সাক্ষ্য ছাড়া মামলা শেষ করা যাচ্ছে না। মামলা প্রমাণে তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা আদালতে না আসায় মামলার বিচার বিলম্বিত হচ্ছে।
মামলার নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডাক্তার ও তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে একাধিকবার সমন দেওয়া হয়েছে। পরোয়ানা ও অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। তবু তাদের আদালতে আনা যাচ্ছে না। তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও ফরেনসিক বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের এসি (আরও), রাজধানীর বিমানবন্দর থানা ও শাহবাগ থানার ওসিকে আদেশের কপি দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট বিমানবন্দর থানার কাওলার সিভিল এভিয়েশনের স্টাফ কোয়ার্টারে নিজ বাসায় খুন হন জাহাঙ্গীর। তিনি পেশায় ড্রাইভার ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের খালাতো ভাই মো. আব্দুল লতিফ বিমানবন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে কারও নাম ছিল না। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে স্ত্রী মুক্তা জাহান, তার পরকীয়া প্রেমিক জসিম ও জনৈক মাহবুবুর রহমান জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিমানবন্দর থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক তাদের গ্রেফতার করেন।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। আসামিদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এমআই/ এএসআর


