ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাঁওতাল পল্লিতে আগুনের ঘটনায় এসপিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
সাঁওতাল পল্লিতে আগুনের ঘটনায় এসপিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

ঢাকা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লিতে আগুন লাগানোর ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আশরাফুল ইসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতি এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া আগুন লাগানোর ঘটনার দিন চামগাড়ি এলাকায় দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক ও রংপুর রেঞ্জের ডিআইজিকে আদালতের এ আদেশ পালন করতে হবে।

আগুন লাগানোর ঘটনায় কারা জড়িত এ বিষয়ে গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিমের প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।

এর আগে, ৩১ জানুয়ারি সাঁওতাল পল্লিতে আগুন লাগানোর জন্য স্থানীয় কয়েকজন এবং ঘটনার সময় দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে দায়ী করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। হাইকোর্ট এ বিষয়ে আদেশের জন্য ৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন।

পরে আমিন উদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের তালিকা দেয়নি পুলিশ সুপার। মুখ্য বিচারিক হাকিমকে তালিকা না দিয়ে সহযোগিতা না করা প্রকারান্তরে হাইকোর্টের আদেশের লঙ্ঘন। এসব কারণে পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার এবং ওইদিন চামগাড়ি এলাকায় যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদেরও প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৯ মার্চ দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।  

এর আগে, হাইকোর্টের নির্দেশে গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. শহিদুল্লাহর তদন্ত প্রতিবেদন ২৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

তিনি বলেন, ৬৫ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনটির সঙ্গে সাপোর্টিং কাগজপত্র রয়েছে ১ হাজার ১ পৃষ্ঠার।

প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়েছে, সাঁওতালদের বাড়িঘরে আগুন লাগানোর জন্য স্থানীয় কয়েকজন এবং ঘটনার সময়ে দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক সদস্য দায়ী।

সাঁওতালদের জানমাল রক্ষা, নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার সুযোগ দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ১৬ নভেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে একটি রিট দায়ের করা হয়। অন্যদিকে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় কমিশন চেয়ে গত বছরের ২১ নভেম্বর দ্বিতীয় রিটটি আবেদন করেন আহত দ্বিজেন টুডোর স্ত্রী অলিভিয়া হেমভ্রম ও গণেশ মুরমোর স্ত্রী রুমিলা কিসকুর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭/আপডেট ১৭০০

ইএস/আরআর/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।