ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হাইকোর্টে রিট বাদ পড়া বিচারপতির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
হাইকোর্টে রিট বাদ পড়া বিচারপতির

ঢাকা: হাইকোর্টে দুই বছর অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনের পরও স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ না পাওয়ায় রিট করেছেন বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলী।
 
 

রিটে তাকে স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।  

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।


 
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করবেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
 
ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জন ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরের দিন তারা শপথ নেন। ওইদিন থেকেই তাদের নিয়োগ কার্যকর হয়।
 
গত ০৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাইকোর্টে নিয়োগ পাওয়া ওই ১০ অতিরিক্ত বিচারপতির মধ্যে  ০৮ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
 
১০ জনের মধ্যে বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেছেন। আর বাদ পড়েছেন বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলী।
 
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীকে বাদ দিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। তাকে স্থায়ী না করার বিষয়ে গত ০৯ ফেব্রুয়ারি  দৈনিক যুগান্তরে  সংবাদ  প্রকাশিত হয়।
 
রিটে বিবাদী করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কার্যা লয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে।
 
মনজিল মোরসেদ বলেন, রিটে ফরিদ আহমদ শিবলীকে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে কেন স্থায়ী নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হবে না- সে মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
 
‘স্থায়ী হল ৮ বিচারপতির নিয়োগ-একজনকে বাদ দেয়ার ক্ষেত্রে রায় লংঘনের অভিযোগ” শিরোনামে যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দু’বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আটজনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শপথ গ্রহণের দিন থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া একজনকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইনের লংঘন ঘটেছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের’।

‘সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা নয়জনকেই স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগের সুপারিশ করেছিলেন। প্র্রধান বিচারপতির সুপারিশের পরও একজনকে স্থায়ী নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করায় সুপ্রিম কোর্টের ‘১০ বিচারপতির মামলা’-সংক্রান্ত রায়ের লংঘন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা’।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।